ডেস্ক রিপোর্টার,১৬ এপ্রিল।।
এখনো ঘোষণা হয়নি রাজ্যের চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ। তার আগেই তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। চার কেন্দ্রে সুষ্ঠ ও অবাধ ভোটের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে এআইসিসি।আগামী কালকেই ত্রিপুরার উপভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের যাবে এআইসিসি’র প্রতিনিধিরা।এই প্রতিনিধি দলে থাকবেন রাজ্য কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক অজয় কুমার এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা। “জনতার মশাল”কে এখবর নিশ্চিত করেছেন খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
রাজধানীর দুই হেভিওয়েট কেন্দ্রের উপভোট সম্পর্কে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা বলেন,” আগরতলা ও টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্রে সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচন হলে উপভোট ১৫শতাংশ ভোটের বেশি পাবে না শাসক দল বিজেপি। সুষ্ঠ ভোট হলে সংশ্লিষ্ট দুই কেন্দ্রে জয়ী হবে কংগ্রেস।”

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহার এই বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন শাসক দল বিজেপি’র প্রদেশ সভাপতি সাংসদ ডা. মানিক সাহা। তিনি বলেছেন, বীরজিৎ সিনহার এই বক্তব্য একটা ‘গিমিক’ ব্যতীত আর কিছু নয়।কংগ্রেসের পায়ের তলায় জমি নেই। বাস্তবের মাটিতে নেই কংগ্রেস। তাই তারা নির্বাচন কমিশনে দৌড়ঝাঁপ করে পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে আনার চেষ্টা করবে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না।রাজ্যের মানুষ ভাল করেই জানেন কোন দলকে ভোট দিতে হবে।
বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি মানিক সাহা তৃণমূল কংগ্রেসের দৃষ্টান্ত টেনে এনে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসও এসেছিলো।অনেক চেষ্টা করেছে।শেষ পর্যন্ত মাত্র ২৩শতাংশ ভোট পেয়ে তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।” কংগ্রেসের অবস্থাও তাই-ই হবে।

“সদ্য শেষ হওয়া পুর ও নগর ভোটের মতো চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপভোট হবে না। কংগ্রেস অনেক সতর্ক হয়েই মাঠে নামবে।”–একথা যোগ করেছেন বীরজিৎ সিনহা। বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি সাংসদ ডা. মানিক সাহা বলেন, ” পুর ও নগর নির্বাচনে মানুষ অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। কোনো সমস্যা হয়নি। উপনির্বাচনও হবে শান্তিতেই।এখন কংগ্রেস যদি আগ বাড়িয়ে নির্বাচন কমিশনে যায়, তাতে বিজেপি’র কিছু করার নেই। গণতান্ত্রিক দেশে যেকোন কেউ নির্বাচন কমিশনের কাছে যেতে পারে।”

মানিক সাহার স্পস্ট বক্তব্য, ” মানুষ জানে রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে বিজেপি।মানুষ বিজেপি’র পাশেই থাকবে।এবং নির্দিষ্ট সময়েই পর বিজেপিই হাসবে শেষ হাসি”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *