বক্সনগর ডেস্ক, ২৮এপ্রিল।।
মানিক্যনগর ও কলমচৌড়া বাইপাস রাস্তার প্রায় পাঁচশ মিটার ভিতরে ওএনজিসি ড্রিলিং সাইডের একটি পরিত্যক্ত জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া আগুনে ঝলসানো লাশ সনাক্ত করেছে পুলিশ। মৃত ব্যক্তির নাম কৃপেশ দাস। বাড়ি আমতলী থানাধীন বাধারঘাট এলাকায়। কৃপেশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো আপন বর্মন ও তনু দাস। মূলত আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষিয়ে জের ধরেই কৃপেশকে খুন করেছে আপন-তনুরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, মানিক্যনগর এলাকার বাসিন্দা সুবোধ দাস বুধবার দুপুরে তার গরু আনতে গিয়েছিলেন জঙ্গলে। তখনই আগুনে ঝলসানো অবস্থায় পড়ে থাকা এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃতদেহ নজরে পড়ে সুবোধ দাসের। মুহূর্তে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে প্রচুর মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কলমচৌড়া থানার পুলিশ সহ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বনোজ বিপ্লব দাস। মৃতদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় জরুরি তলবে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়ে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের টিম।পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতাল মর্গে।
পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে উদ্ধার হওয়া ঝলসানো লাশ কৃপেশ দাসের। আমতলী থানাধীন বাধারঘাট এলাকার বাসিন্দা। গত দুইদিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বাড়ি থেকে। কৃপেশ দাসের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার শিকড়ে পৌঁছার রাস্তা পেয়ে যায়। কৃপেশ দাস নিজে সুদের ব্যবসা করতেন। অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের কর্মী আপন বর্মন সুদে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কৃপেশ থেকে। কিন্তু সময় মত আপন টাকা ফেরত দেয়নি কৃপেশকে। এনিয়ে দুইজনের মধ্যে শুরু হয় বিবাদ।
এই বিবাদের সূত্র ধরেই আপন বর্মন টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে কৃপেশকে বক্সনগরে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে একটি নির্জন জায়গাতে কৃপেশকে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তাকে খুন করে। এরপর প্রমান লোপাটের জন্য কৃপেশ দাসের মৃতদেহে আগুন লাগিয়ে দেয়।পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আপন বর্মন একথা স্বীকার করে।তার সঙ্গে ছিলো শ্যালক তনু দাস।তাকেও পুলিশ গ্রেফতার করে।
