
ডেস্ক রিপোর্টার,৫মে।।
“রাজ্যের উন্নয়নের মুকুটে যুক্ত হচ্ছে আরো এক নতুন পালক। রাজ্যের হবে আরো একটি নতুন বিমান বন্দর।তার জন্য সনাক্ত করা হয়েছে জমি।” জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বিমান বন্দরের কাজ দ্রুত শুরু করতে কেন্দ্রীয় বিমান উড্ডয়ন মন্ত্রীর সঙ্গেও ইতিবাচক কথা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।আরো একটি বিমান বন্দর মাথা তুলে দাঁড়ালে নিঃসন্দেহে রাজ্যের গ্ল্যামার বেড়ে যাবে আরও কয়েকগুণ,বলছে সংশ্লিষ্ট মহল।গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত উত্তর-পূর্ব উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে একথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তর-পূর্ব উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

ত্রিপুরা সহ গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চল আগর চাষের জন্য উপযুক্ত ভূমি। আগর চাষের বিশাল সম্ভাবনা এই অঞ্চলে। তাতে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে উত্তর-পূর্বাঞ্চল। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আগর চাষের কথা মাথায় রেখে আগর রপ্তানির বিভিন্ন সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে তুলে ধরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “এরপরই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ২৫ হাজার মেট্রিক টন পর্যন্ত আগর রপ্তানি করার অনুমতি দেয় কেন্দ্র।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগর চাষের ফলে বিশাল পরিমাণ আর্থিক লাভ হবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের। এখানকার মাটি ও জলবায়ু আগর চাষের জন্য উপযুক্ত।তাই আগামী দিনে আগরের রপ্তানির উপর কোটা সিস্টেম সরিয়ে আগরের উপর একটি ন্যাশনাল বোর্ড গঠন করার প্রস্তাব রাখেন কেন্দ্রীয় ডোনার মন্ত্রীর কাছে।রেল পরিষেবায় আরো গতি আনতে রাজ্যে ভিস্তা ডোম ট্রেন দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের ভাষায় , উত্তর পূর্বাঞ্চলকে অষ্টলক্ষ্মী নামে নতুন পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আয়তনে প্রায় উত্তরপ্রদেশের সমান এবং জনসংখ্যায় অনেক কম উত্তর-পূর্বাঞ্চল অক্সিজেনের বিরাট উৎস। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের প্রায় সবগুলি রাজ্য তাদের চাহিদার অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।

ডোনার মন্ত্রী কিশান রেড্ডির কাছে মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেন, বাংলাদেশ থেকে যে ট্রাকগুলি আগরতলা আসে এবং আগরতলা থেকে যে ট্রাকগুলো বাংলাদেশ যায়, সেগুলির বর্ডারে এসে লোডিং আনলোডিং’র ব্যবস্থা বন্ধ করতে। তাতে সংশ্লিষ্ট দ্রব্যগুলির মূল্য অনেকটা হ্রাস পাবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।