তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,৭মে।।
গত কিছুদিন পূর্বে ধলাইয়ের কমলপুরে জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে খুন হয়েছিল তিনজন। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বাড়ি থেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হলো এক তরতাজা যুবককে।তার নাম অনুপ সূত্রধর (২৯)। ঘটনা শুক্রবার রাতে তেলিয়ামুড়া থানাধীন ডি.এম.কলোনীতে।
পুলিশ জানিয়েছে, তেলিয়ামুড়া থানা এলাকার ডি.এম কলোনি এলাকার বাসিন্দা অনুপ সূত্রধর’কে তার বাড়ি থেকে কিছু দূরে এক বাড়িতে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় একই এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত সূত্রধর, প্রসেনজিৎ সরকার, গৌতম সরকার, রতন সরকার, পরিতোষ সূত্রধর,সহ প্রীতম সূত্রধর।সেই বাড়িতে যাওয়ার পর কোনো এক বিষয কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং পরবর্তীতে হাতাহাতির রূপ নেয়। পরিকল্পিতভাবে অনুপের শরীরে প্রচন্ড ভাবে আঘাত করে। এবং সেই স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে প্রফুল্ল সরকারের ঘরের পেছনে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রাখে। দুস্কৃতিরা অনুপের বাড়িতে ফোন জানায় যে অনুপ রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতিবেশী প্রফুল্ল সরকারের বাড়িতে পড়ে রয়েছে। এই খবর পেয়ে অনুপের পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি ছুটে যায় প্রফুল্ল দাসের বাড়িতে।সেখান থেকে অনুপকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যায় তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসাকরা। জিবিতে চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় ভোর চার’টা নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে অনুপ।
এই ঘটনার পর তদন্তে নামে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থল প্রফুল্ল সরকারের ঘরের পেছনের দিকে থেকে একটি কাঠের মুকুর উদ্ধার করেছে। তাছাড়া প্রফুল্ল সরকারের বাড়ির উঠানে টানা হেঁচড়ে করার পায়ের চিহ্ন’র সন্ধান খোঁজে পায়।
তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ শুক্রবার রাতেই প্রসেনজিৎ সরকার’কে সন্দেহবশত আটক করে থানায় নিয়ে আসে। শনিবার সকালে প্রশান্ত সূত্রধর, গৌতম সরকার, এবং রতন সরকার’কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।তবে অপর দুই অভিযুক্ত পরিতোষ সূত্রধর ও তার ছেলে প্রীতম সূত্রধর তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *