
ধর্মনগর ডেস্ক,৬জুন।।
মনোনয়ন পত্র জমা করেন উত্তর জেলার ৫৭- যুবরাজ নগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী মলিনা দেবনাথ।
সোমবার মনোনয়নপত্র জমা পর্বে প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ সভাপতি ডাঃ মানিক সাহা,প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব,মন্ত্রী শান্তনা চাকমা, মন্ত্রী ভগবান দাস,মন্ত্রী প্রেম কুমার রিয়াং, উপাধ্যক্ষ তথা ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ববন্ধু সেন, বিজেপি’র প্রদেশ সাধারন সম্পাদক টিংকু রায় সহ জেলা ও মন্ডলের স্থানীয় নেতৃত্ব। এদিন দুপুর একটা নাগাদ প্রার্থী মলিনা দেবনাথকে সাথে নিয়ে সুবিশাল মিছিল বের করেন একঝাঁক মন্ত্রী ও বিধায়ক সহ বিজেপি’র নেতৃত্ব। স্থানীয় রাধাপুর মেলার মাঠ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ধর্মনগর শহর কাঁপিয়ে মহকুমা শাসকের সামনে এসে শেষ হয়। তারপর প্রার্থী মলিনা দেবনাথ সহ মন্ত্রী ভগবান দাস ও বিশ্ববন্ধু সেনের উপস্থিততে মহকুমা শাসক এল ডার্লং এর নিকট মনোনয়নপত্র তুলে দেন প্রার্থী মলিনা দেবনাথ।

দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা পর্বে উপস্থিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন,প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে।তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এদিনের মনোনয়নপত্র দাখিলে অংশগ্রহণ করাতে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যুবররাজ নগরের প্রার্থী মলিনা দেবনাথের জয় নিয়েও আশাবাদী খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
জেলা শাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, উত্তর জেলা থেকে বিজয়ের উৎপত্তি হবে।রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীরা রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করবেন। মানুষ মোদী সরকারের আমলে ও রাজ্যের বিজেপি সরকারের শাসনকালে অগ্রগতির পথে হাঁটছে। বিপ্লব কুমার দেব বলেন,জেলা থেকে পান্না প্রমুখ পর্যন্ত এক জোটে কাজ করতে হবে।

যুবরাজ নগর বিধানসভার বিজেপি’র মনোনীত প্রার্থী মলিনা দেবনাথের বক্তব্য, তাঁর মনোনয়ন পত্র জমা পর্বে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী,প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ একঝাঁক মন্ত্রী নেতৃত্বের উপস্হিতিতে তিনি গর্বিত। আবেগতাড়িত হয়ে প্রার্থী বলেন, “তিনি একজন গৃহবধূ। বিজেপি দল তাঁকে ঘর থেকে তুলে এনে আজ এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।” প্রার্থীর কথায়, যুবরাজ নগর বিধানসভা কেন্দ্রে কোন গোষ্টী কোন্দল নেই। মানুষের ব্যাপক সাড়া রয়েছে।তবে এদিনের মনোনয়নপত্র জমার অনুষ্ঠানে যুবরাজ নগর বিধানসভা কেন্দ্রের অনেক চেনা মুখকে দেখা যায়নি বলে দাবি স্থানীয় লোকজনের।