
ডেস্ক রিপোর্টার,১০জুলাই।।
২৩- র মহারণকে সামনে রেখেই রবিবার বিজেপির খোয়াই জেলার কার্যকারিনী বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। খোয়াই শহরের স্বপ্নপুরীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই বৈঠক। খোয়াই জেলার এদিনের কার্যকারিনী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণপুরের বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী। তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা কল্যাণী রায়, প্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতি তথা খোয়াই জেলার প্রভারী অমিত রক্ষিত দলের অপর সহ সভানেত্রী সভাপতি পাতালকন্যা জমাতিয়া।

দলীয় পতাকা উত্তোলন করে খোয়াই জেলার কার্যকারিনী বৈঠকের শুভ সূচনা করেন কল্যাণপুরের বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী। খোয়াই জেলার কার্যকারিনী বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ২০২৩’র প্রাথমিক রোড ম্যাপ তৈরি করে। মূলত বৈঠকের আগাগোড়াই আলোচনা হয়েছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে। ২৩- র ভোটযুদ্ধে দলের কৌশলগত অবস্থান কি হবে? কোন কোন বিষয়কে সামনে রেখে প্রচার শুরু করবে দল? রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে অন্তিম পর্যায়ের মানুষের কাছে কিভাবে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়? সর্বোপরি দলের সংগঠনকে কিভাবে আরো আটোসাটো করা যায়? সমস্ত বিষয় নিয়েই কার্যকারিনী বৈঠকে আলোকপাত করেছেন নেতৃত্ব।

প্রসঙ্গত ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে খোয়াই জেলার ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটিতে জয় পেয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি ও আইপিএফটি জোট। তখনও খোয়াই জেলার প্রভারী ছিলেন বর্তমান প্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতি অমিত রক্ষিত। মূলত তাঁর নেতৃত্বেই খোয়াই জেলায় বিজেপি এই সাফল্য পেয়েছিলো। অবশ্যই দলের অন্যান্য নেতৃত্বদের ও ভূমিকা ছিল এক্ষেত্রে। শুধুমাত্র খোয়াই বিধানসভা আসনটি হাতছাড়া হয়েছিল বিজেপির । এই কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন খোদ অমিত রক্ষিত। তিনি অল্প ভোটের ব্যবধানে তিনি হেরে গিয়েছিলেন। এবার অবশ্যই গোটা খোয়াই জেলাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। ছয়টি আসনের মধ্যে ছয়টি দখল নেওয়ার কৌশল নিয়েছে শাসক দল। ১৮তে হাতছাড়া হওয়া খোয়াই আসনটি এবার অমিত রক্ষিতের নেতৃত্বেই দখল করবে বিজেপি। এই প্রস্তুতি নিয়েই শাসক দলের নেতাকর্মীরা তাদের পরিকল্পনা সাজিয়েছে। বিরোধীদের খোয়াই জেলা থেকে শূণ্য হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিজেপি নেতৃত্ব সর্বক্ষণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করছেন। তাই গেরুয়া নেতৃত্ব ২৩- র ভোটে তাদের প্রার্থীদের নিশ্চিত জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।