
ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
রাজ্যে ফের আক্রান্ত কংগ্রেস।এবার আক্রমণের বধ্যভূমি বিশ্রামগঞ্জ। প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীরা কংগ্রেস নেতাদের গাড়ি নির্বিচারে ভাঙচুর করেছে। মঙ্গলবার দুপুরের এই ঘটনা কেন্দ্র করে বিশ্রামগঞ্জ সহ গোটা রাজ্যেই বিষে উঠে রাজনৈতিক পরিবেশ। কংগ্রেস নেতৃত্বে অভিযোগ, বিজেপির দুষ্কৃতীরা বিশ্রামগঞ্জে তাদের গাড়িতে হামলা করেছে।পুলিশের সামনেই ঘটেছে হামলার ঘটনা। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আরক্ষা প্রশাসন
কোন ব্যবস্থা নেয় নি। বক্তব্য প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের।
কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদিকা জারিতা লাইটফ্লাং বলেন, এদিন কংগ্রেস নেতা আশীষ কুমার সাহা ও তিনি বিশ্রামগঞ্জে গিয়েছিলেন দলের সাংগঠনিক কাজে। তারা দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করছিলেন রাস্তার পাশেই ছিল কংগ্রেস নেতৃত্বের গাড়ি। জারিতা লাইটফ্লাংয়ের কথায়, পার্টি অফিসে কংগ্রেসের বৈঠক চলাকালীন আচমকা ২০- ২৫ জন যুবক হাতে লাঠি নিয়ে চড়াও হয় তাদের গাড়িগুলির উপর। প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীরা তাদের হাতে থাকা লাঠি,রড দিয়ে গাড়িগুলিকে নির্বিচারে ভাঙচুর করে।

সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস নেত্রীর অভিযোগ,এই ঘটনার সময় পাশেই ছিল পুলিশ। কিন্তু তারা দুষ্কৃতীদের আটকানোর কোনো চেষ্টাই করেনি। পুলিশের সামনেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কংগ্রেস নেতৃত্বের গাড়িগুলিতে একের পরে হামলা করে। থানা পুলিশকে ফোন করেও কোন কাজ হয়নি। কারণ থানা পুলিশও ছিল ঠোটো জগন্নাথ। অবশেষে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক ভি এস যাদবকে পুরো ঘটনা জানানো হয়েছে। পরবর্তী সময় ডিজিপির নির্দেশেই পুলিশ দুষ্কৃতীদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়।তবে তাদের গ্রেপ্তার করেনি।
জারিতা লাইটফ্লাংয়ের বক্তব্য, এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করলো, ত্রিপুরায় নেই কোনো গণতন্ত্র। মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন হলেও বিজেপির সংস্কৃতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। তারা ক্রমাগত আক্রমণ করছে কংগ্রেসকে। এরকম রাজনৈতিক সংস্কৃতি দেশের আর কোথায়ও নেই বলে দাবি করেছেন এই কংগ্রেস নেত্রী।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্রামগঞ্জ থানায় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের কোন খবর নেই। বিজেপির পাল্টা দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কর্মী-সমর্থকদের কোন যোগসূত্র নেই।এটা একান্তই কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল।এই গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই দলীয় নেতৃত্বের গাড়িতে ভাঙচুর করেছে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা।