ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের শনি এখন সাড়েসাতিতে। মুখ্যমন্ত্রীর পর থেকে অপসারণের পর তার সময় ভালো কাটছে না। ক্রমশই তিনি রাজ্য রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন।অর্থাৎ দল তাকে গুরুত্বহীন করে দিতে চাইছে। তবে তিনি অনুগামীদের এটা বুঝতে দিচ্ছেন না। কিন্তু ছাই চাপা দিয়ে তো কিছু ঢেকে রাখা যায় না। মানুষ এটা বুঝতে পারছে।
প্রদেশ বিজেপি সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিপ্লব কুমার দেবকে তাঁর দিল্লিস্থিত সরকারি বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে দিল্লিতে বাংলো পেয়েছিলেন বিপ্লব কুমার দেব।
কিন্তু এখন রাজপাট সবই শেষ। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে হয়েছেন অপসারিত হওয়ার কারণে প্রটোকল অনুযায়ী তাকে দিল্লির বাংলো ছাড়তেই হবে। এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। এই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার বিপ্লব কুমার দেবকে তাঁর দিল্লিস্থিত বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই বিপ্লব কুমার দেবকে দিল্লির বাংলো ছেড়ে দিতে হবে।এমন গুঞ্জন বিজেপি শিবিরে।
খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত নোটিশ এসে পৌঁছেছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের হাতে। তিনি এখনো কেন্দ্রীয় সরকারকে কিছু জানাননি। সূত্রের দাবি, বিপ্লব কুমার দেব প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে কিছু না জানালেও, খুব শীঘ্রই তাকে বাংলো থেকে বিদায় নিতেই হবে।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গোটা দেশে বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের দিল্লিতে বাংলোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। সে জন্যই বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন দিল্লিতে পেয়েছিলেন সরকারী বাংলা।এখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী নেই।শুধু মাত্র একজন বিধায়ক। নিয়ম অনুযায়ী, বিজেপির বিধায়কদের দিল্লিতে বাংলো পাওয়ার কোনো রেওয়াজ নেই। এখনও দিল্লির বাংলো বিপ্লব কুমার দেবের গ্রিপেই।তাই একজন বিধায়ক হিসাবে বিপ্লব কুমার দেব দিল্লির বাংলো কি ভাবে ব্যবহার করছেন? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে খোদ বিজেপির অন্দরে।
