ডেস্ক রিপোর্টার,৩১জুলাই।।
জুলাই বোধজংনগর থানার জোড়া খুনের ৩০ দিন অতিক্রান্ত হতে চললেও পুলিশ এখনো টিকির নাগাল পায়নি হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডকে। জোড়া খুনের মূল অভিযুক্ত নন্দননগরস্থিত নেশামুক্তি কেন্দ্রের মালিক বাবুল দেববর্মা। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত ধাপে ধাপে মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। যারা জোড়া হত্যাকাণ্ডে মাস্টারমাইন্ড বাবুল দেববর্মাকে খুনের কাজে সাহায্য করেছে। পুলিশ বাবুল দেববর্মার স্ত্রী দীপ্তি দেববর্মা, নেশামুক্তি কেন্দ্রের ম্যানেজার রহিত সিনহা এই কেন্দ্রের চার কর্মী প্রসেনজিৎ চৌধুরি, বাপী দেবনাথ, সোহেল মিঞা ও বাবুল দেববর্মাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ খুনের কাজে ব্যবহৃত পিস্তলও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই বোধজংনগর থানার তদন্তকারী পুলিশকে বাহবা দিতে হয়। খুব দ্রুত তারা ঘুনের মোডাস অপারেন্ডি এবং বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। তা সত্বেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানান মহল থেকে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে হত্যাকাণ্ডের ৩০দিন অতিক্রান্ত হতে চলছে। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের তথাকথিত নেটওয়ার্ক সমৃদ্ধ পুলিশ হত্যাকাণ্ডের
অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্তকে জালে তুলতে পারেনি। প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কোথায় গা ঢাকা দিয়েছে নেশামুক্তি কেন্দ্রের মালিক তথা জোড়া হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড বাবুল দেববর্মা। পুলিশ কেন তাকে এখনো। গ্রেফতার করতে পারছে না। তবে এই মামলায় মানুষের মধ্যে কিছুটা বিভ্রান্তও তৈরি হয়েছে। পুলিশ বাবুল দেববর্মা ওরফে রাহুলকে (১৯) গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ি ধলাইয়ের ছৈলেংটায়। সেখান থেকে খুনের কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই বাবুল দেববর্মা ওরফে রাহুল হলো নেশামুক্তি কেন্দ্রের একজন কর্মচারী। তার মালিকের নামও বাবুল দেববর্মা হওয়াতে অনেকের মধ্যেই ধারণা জন্মেছে হয়তোবা পুলিশ জোড়া খুনের মাস্টার মাইন্ড বাবুলকেই গ্রেফতার করেছে। বাস্তবে তা নয়। মাস্টার মাইন্ড বাবুল দেববর্মা এখনো পলাতক। বোধজংনগর থানার তদন্তকারী পুলিশের দাবি, তারা বাবুলকে গ্রেফতারের জন্য রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরেও জাল বিস্তার করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ পুষ্পক সাহা ও বাসুদেব দেববর্মার মূল হত্যাকারী বাবুল দেববর্মার ‘গড়’ পৌঁছতে পারেনি। এই বিষয়ে বোধজংনগর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তাদের বক্তব্য, নজর রাখতে চারিদিকে। তাকে গ্রেফতারের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন থানায় পাঠানো হয়েছে বার্তা। এবং রাজ্যের বাইরেও বেশ কিছু জায়গায় নজর রেখে চলছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশের রাডারে বাবুল দেববর্মা ধরা পড়েনি। এর আগেও রাজ্যের বেশ কিছু হত্যামামলার তদন্তের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে সাহায্যকারীদের গ্রেফতার করেছে সময়মতো। কিন্তু মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরেই মূল অভিযুক্ত পলাতক থাকে। স্বাভাবিক ভাবেই একটা সময় পর মামলার গুরুত্ব অনেকটাই হ্রাস পেয়ে যায়। পরবর্তীতে বাঁকা পথে আদালতে আত্মসমর্পণ করে নেয় মূল অভিযুক্ত। পুলিশ তাকে কিছুই করতে পারেনি। এই মামলার ক্ষেত্রেও কি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে? নাকি বোধজংনগর থানার তদন্তকারী পুলিশ জোড়া হত্যাকাণ্ডের মূল মাস্টারমাইন্ড বাবুল দেববর্মাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে? এই লক্ষ টাকার প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে রাজধানীর জনমনে।
