ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
“রাজ্যবাসী যে ভরসা ও আস্থা-বিশ্বাস রেখে গণতন্ত্রের মন্দির বলে খ্যাত পবিত্র রাজ্য বিধানসভায় জনপ্রতিনিধিত্ব করার জন্য দায়িত্ব দিয়ে আমাদের পাঠিয়েছেন সেই বিশ্বাসকে মর্যাদা দিতে হবে। জনগণের সেই আস্থা ও ভরসাকে মাথায় রেখে দলীয় আদর্শগত মতান্তর এবং আরোপ প্রত্যারোপের মধ্যেও জনকল্যাণকর বিষয়গুলি নিয়ে শাসক- বিরোধী সকলে মিলে সহমতের ভিত্তিতে আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।” শুক্রবার রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। তিনি বলেন, এই হাউসে গঠনমূলক আলোচনা এবং বিধানসভার সমস্ত সদস্য সদস্যাদের পরস্পরের সৌজন্যতায়, শ্রদ্ধাবোধে পবিত্র বিধানসভার গরিমা আরও উজ্জ্বল হবে। এভাবে গণতন্ত্র আরও সুদৃঢ় হবে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর এদিনই প্রথমবারের মতো বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দেন প্রফেসর ডা. মানিক সাহা। এদিন সভা শুরু হওয়ার পর বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখার সুযোগ দেন। বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যবাসীর আশীর্বাদ নিয়ে এবং সাংবিধানিকভাবে অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের শপথ নিয়ে এই প্রথমবার ত্রিপুরা বিধানসভার অধিবেশন উপস্থিত হতে পেরে অত্যন্ত গৌরবান্বিত বোধ করছি। গণতন্ত্রের পীঠস্থান বলে সর্বজন বিদিত পবিত্র বিধানসভায় রাজ্যবাসীর কল্যানার্থে বিধানসভার সদস্য ও সদস্যাগণ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন এবং নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করে আলোচনাক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। এর পাশাপাশি বিজনেস এডভাইজারি কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে অধিবেশনের প্রতিদিনের যে জনকল্যাণকর কর্মসূচি নির্ধারিত হয়ে থাকে সেগুলি বিধানসভার কার্য পরিচালন ও নিয়মাবলী বিধি অনুসরণ করেই প্রতিটি বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা হয়। এছাড়া জনস্বার্থমূলক অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্যও শাসক-বিরোধী সদস্য সদস্যাগণ অত্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। যা গণতন্ত্রকে আরও সুদৃঢ় ও সুসংহত করার লক্ষ্যে আগামীদিনেও এই হাউসের সমস্ত সদস্য সদস্যাদের কাছে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালনের প্রত্যাশা রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।
। মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা আরও বলেন, বিধানসভায় জনস্বার্থ ও জনগণের সমস্যা নিয়ে বাস্তব প্রেক্ষিতে গঠনমূলক আলোচনা হওয়াটাই প্রত্যাশিত। সমস্যা জানা থাকলে সমাধানের জন্য রাজ্য সরকার সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পবিত্র বিধানসভার কাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে বরাবরই সমস্ত সদস্য ও সদস্যাগণ অধ্যক্ষকে পূর্ণ সহযোগিতা করে এসেছেন এবং আগামীদিনেও এই হাউসের পবিত্রতা ও মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। সেই সঙ্গে বিধানসভার সমস্ত সদস্য সদস্যাদের শারদোৎসবের আগাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।
