ডেস্ক রিপোর্টার,২৫ ফেব্রুয়ারি।।
         ছত্রিশগড়ের রায়পুরে অনুষ্ঠিত হলো কংগ্রেসের ৮৫তম মহা অধিবেশন। দুই দিন ব্যাপী মহা অধিবেশনের প্রথম দিন ছিলো শনিবার।মহাঅধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় শহীদ বীর নারায়ণ সিং নগরে।২০২৪- র সাধারণ নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখেই সর্ব ভারতীয় কংগ্রেসের এই মহা অধিবেশন।


প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর, কংগ্রেসের ৮৫ তম মহা অধিবেশনে ত্রিপুরা থেকে ১৩জন আমন্ত্রিত ছিলেন।তাদের মধ্যে ৩জন এআইসিসির সদস্য। এবং দশ জন পিসিসির সদস্য।তাছাড়া সাত জন ছিলেন বিশেষ আমন্ত্রিত। তবে রায়পুরে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের মহা অধিবেশনে সবাই যায় নি। রহস্য জনক কারণে মহা অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকেন কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন,সমীর রঞ্জন বর্মন, আশীষ কুমার সাহা ও অশোক দেববর্মা ।রায়পুরে প্রদেশ কংগ্রেস চার হেভিওয়েট  নেতার অনুপস্থিতি রাজ্য রাজনীতিতে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ আগামী ২রা মার্চ রাজ্যের ভোট গণনা। তার আগে রায়পুরে কংগ্রেস নেতাদের অনুপস্থিতি ফের নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত করছে বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা। তবে অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা, বর্ষীয়ান নেতা গোপাল রায়, প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি অজয় কুমার, প্রবক্তা প্রশান্ত ভট্টাচার্য্য ও কংগ্রেস নেতা বিল্লাল মিয়া।

রায়পুরে মহাঅধিবেশন সোনিয়া গান্ধী ও মল্লিকা অর্জুন।

কংগ্রেসের মহাঅধিবেশনে প্রথম দিনে দলীয় সংবিধান সংশোধন করা হয়। সংশোধনী প্রস্তাব পাশ করিয়ে নেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক মুকুল ওয়ানিস্ক। অধিবেশনের শুরুতেই সারা দেশে প্রয়াত কংগ্রেস নেতাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নীরবতা পালন করা হয়।তাদের মধ্যে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রয়াত বর্ষীয়ান নেতা শচীন নাথও।অধিবেশনে স্বাগত ভাষণ রাখেন সর্ব ভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বেনো গোপাল। অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকা অর্জুন খারগে।সোনিয়া গান্ধী, ছত্রিশগড় ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা,। এদিন মহাঅধিবেশনে এআইসিসির ৩৫ সদস্যের কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

রায়পুরে কংগ্রেসের মহাঅধিবেশনে গোপাল রায় ও প্রশান্ত ভট্টাচার্য্য।

রবিবার কংগ্রেসের মহাঅধিবেশনের অন্তিম দিন। শেষ দিনের অধিবেশনের প্রথমার্ধে উপস্থিত থাকবেন কংগ্রেস যুবরাজ রাহুল গান্ধী। রায়পুরে অনুষ্ঠিত সর্বভারতীয় কংগ্রেসের মহা অধিবেশনে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মন, সমীর রঞ্জন বর্মন, আশীষ কুমার সাহা ও অশোক দেববর্মা অনুপস্থিত থাকতে ক্রমশঃ ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। আতঙ্কিত কংগ্রেস নেতৃত্বও।তাহলে কি গণনার পর পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে বর্মণ ব্রিগেড আবারও ঝাঁপ দিতে পারেন পদ্ম বনে? কোটি টাকার এই প্রশ্নে তীব্র গুঞ্জন কংগ্রেস রাজনীতির আকাশে বাতাসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *