
ডেস্ক রিপোর্টার, ৬ মার্চ।।
বড়জলা কেন্দ্রে প্রত্যাশিত ভাবে পরাজিত হয়েছেন বিজেপির প্রার্থী ডা: দিলীপ দাস।তিনি বাম প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু ডাক্তার বাবু তার পরাজয়ের জ্বালা মেনে নিতে পারছেন না। তাই ফল ঘোষণার পর ডা: দিলীপ দাস তার গুন্ডা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে খোদ নিজের দলের লোকজনের উপর। কারণ দিলীপ দাসের কার্যকলাপের উপর বিতশ্রদ্ধ হয়ে অনেক দলীয় কর্মী ও সমর্থকরাই তাকে ভোট দেয় নি। অবশ্যই দিলীপের রুদ্ররোষ থেকে বাদ যায় নি বিরোধী শিবিরের লোকজনও। বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রে কান পাতলেই শোনা যায় এই সংক্রান্ত তথ্য।

বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রের এয়ারপোর্ট,ঊষা বাজার, ছিনাইহানী, সহ আশপাশ এলাকায় ধারাবাহিক ভাবে বোমা হামলা ও বুলেট বৃষ্টি চলছে।রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীররা একের পর এক বাড়ি ঘরে হামলা শুরু করেছে। উবে যাচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের রাতের ঘুম। দুষ্কৃতীদের বোমা হামলা ও বুলেট বৃষ্টি চললেও অন্ধকারে হাতড়াচ্ছে পুলিশ। কোথায় প্রশাসন? অন্তত আমাদের হাতে থাকা সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।।
রাতের আঁধারে দুষ্কৃতীরা নাগরিকের বাড়ির গেটের সামনে দাড়িয়ে কিভাবে পিস্তল থেকে বুলেট নিক্ষেপ করছে?
গত পাঁচ বছরে বড়জলা কেন্দ্রটি হয়ে উঠেছে রাজধানীর অপারাধের আখড়া। তার পেছনে কার মস্তিষ্ক কাজ করছে?কেন বড়জলাকে বিষিয়ে তোলা হচ্ছে? তার সব কিছুর উত্তর পাওয়া যাবে এই কেন্দ্রের ডাক্তার বাবু দিলীপ দাসের কাছেই।বলছেন স্থানীয় লোকজন।

বড়জলা কেন্দ্রে কারা সন্ত্রাস করছে? তার উত্তরও পরিষ্কার বুঝতে পারছে মানুষ। গোটা অঞ্চলের দাগি অপরাধী রাজু বর্মন,সন্তোষ দাস,আকাশ কর, প্রাণতোষ দাস,প্রভাকর ঘোষরা অপরাধ সংগঠিত করছে।তারা প্রত্যেকেই নতুন নগর ও ভারত রত্ন সংঘের বুলেট কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাদেরকে পরিচালনা করছে ২৩- ভোটের আগে সিপিআইএম ছেড়ে বিজেপিতে আসা দিলীপ ঘোষ, কৃষ্ণ পদ সরকার ও বলরাম সাহা।তাদের বাড়িতে বসেই তৈরি করা হয় অপরাধের ব্লু প্রিন্ট।