ডেস্ক রিপোর্ট, ১০মার্চ।।
         ভোট গণনার পর থেকে গোটা রাজ্যে শুরু হয়েছে সন্ত্রাস। এবারের রাজনৈতিক সন্ত্রাস পেয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। জ্বলছে একের পর এক বাড়ি ঘর,দোকান পাট।রক্তাক্ত হচ্ছে মানুষ। ফুটছে বোমা।পিস্তলের ছুড়া বুলেটের শব্দে কেপে উঠছে গ্রাম – শহরের অলি – গলি।
         রাজ্য জুড়ে চলা এই সন্ত্রাসে কারা ক্ষতিগ্রস্থ? এই হিসেব কি কেউ করছেন? নিশ্চয় না। ২৩- র নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এই রাজ্যের বাঙালি নামক অসহায় প্রাণীরা। ছি: ছি: ।তারাই নাকি আবার গর্ব করে বলেন, “আমরা এই রাজ্যে সংখ্যা গরিষ্ঠ”।
            কিন্তু ত্রিপুরার বাঙালি সমাজকে দেখে মনে হচ্ছে তারা মেরু দ্বন্দ্বহীন একটি জাতি। নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করতে উস্তাদ। আর বাইরের আক্রমণ আসলে গর্তে মাথা ঢুকাতে সিদ্ধহস্থ। অনন্ত ত্রিপুরার বাঙালি সমাজের চলন বলন দেখলে তা প্রকট হয়ে যায়।
             নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাজ্যের পাহাড় সমতল সর্ব ক্ষেত্রেই শুরু হয়েছে সন্ত্রাস। পাহাড়ে তিপ্রামথার কর্মীরা আক্রমণ করছে বিজেপির নাম ধারী বাঙালি লোকজনকে। এডিসি অঞ্চলের বাঙালিরা এখন প্রতি মুহূর্তে গুনছে আতঙ্কের প্রহর। তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রতিদিন হারাচ্ছেন তার বক্তব্যের শালীনতা। স্বাভাবিক ভাবেই তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি।
             প্রদ্যুৎ কিশোর তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিপ্রাসাদের নির্দেশ দিয়েছেন, সংখ্যালঘু মুসলিমদের পাশে দাঁড়াতে।তাদের রক্ষা করতে। প্রদ্যুৎ কিশোর তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে কি সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেন নি? উঠছে প্রশ্ন।দেখুন দর্শক বন্ধু আপনারা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা প্রদ্যুৎ কিশোরের সেই পোস্ট।
  প্রদ্যুৎ সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে বলে পরোক্ষে জুতো দেখলেন এই রাজ্যের হিন্দু বাঙালিদের। এবং কৌশলে বাঙালি হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বিভেদের শেকড় আরো গভীর করে দিলেন। বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
       অবাক করার মতো বিষয় এরপরও নিশ্চুপ এই রাজ্যের মেরুদন্ডহীন বাঙালি সমাজ। যাদের পাতে মাছ ভাত থাকলেই নিজেদের সুখী মনে করেন। প্রদ্যুৎ কিশোর হিন্দুদের কটাক্ষ করলেন তারপর চুপ কেন হিন্দুত্বের ব্যাটন ধরে রাজনীতি করা ভারতীয় জনতা পার্টি ও তাদের শক্তির নিউক্লিয়াস নাগপুর  এটাই উত্তর অবশ্যই দিতে পারবেন সংশ্লিষ্ট দল ও সংগঠনের নেতৃত্ব।
       সমতলে বাঙালি নিজেরাই খাচ্ছে নিজেদের রক্ত। বিজেপি, সিপিআইএম ও কংগ্রেসের নামে প্রতিবেশীর বাড়িতে আক্রমণ করছে বাঙালি নামধারী কলঙ্কিত দুষ্কৃতীরা। নিজেদের শিরা ধমনীতে বাঙালীর রক্ত প্রবাহিত হওয়ার পরও তারা রক্ত খেকো শৃগালের মতো হামলে পড়েছে প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর বাঙালি লোকজনের উপর। ছি: ছি: রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি তারা এতোটাই ক্ষমতাশালী হয়ে থাকে তাহলে পাহাড়ে গিয়ে মথার কর্মীদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গর্জন করতে পড়ছে না? শুধু সমতলে বসে বসে বাঙালি হয়েও বাঙালিদের অত্যাচার করছে?
       রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায়,রাজ্যের বাঙালি সমাজ মেরুদন্ড হীন। কাপুরুষ। তাদেরকে চোখে আঙুল দেখিয়ে দিয়েছেন প্রদ্যুৎ কিশোর। নিজের জাতির জন্য প্রদ্যুৎ কিশোরের এই লড়াই অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু ব্যর্থ এই রাজ্যের বাঙালিরা।যারা গর্ব করে বলেন, বিধানসভার ৪০টি আসনের জয় পরাজয় নির্ভর করবে আমাদের ভোটের উপর।আসলে ত্রিপুরার বাঙালিরা এখনো স্বপ্নের ফেরিওয়ালা। তবে তারা স্বপ্ন দেখছেন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে।তাই স্বপ্নের ঘোরে থাকা বাঙালিদের ঘরের সিধ কেটে একদিন তাদের সর্বশান্ত করে দেবে। তখনও বোধ হয় তাদের হুশ ফিরবে না।
      

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *