
ডেস্ক রিপোর্টার, ২২জুন।।
দিলীপ সরকারের মৃত্যুর পর রাহু গ্রাস করে বাধারঘাটকে। বিজেপি উপনির্বাচনে প্রার্থী করে ছিলো মিমি মজুমদারকে। তিনি জয়ীও হয়েছিলেন।কিন্তু অল্প সময়ে মিমি জড়িয়ে যান অপরাধীদের অক্টোপাসে। জ্ঞাত বা অজ্ঞাত সারেই হোক না কেন তার জন্য কিন্তু কপাল পুড়ল মিমির।২৩ র নির্বাচনে তিনি টিকিট পেলেন না। শ্যাম-কূল উভয়ই গেলো।

২৩- র নির্বাচনে মিমির পরিবর্তে দিলীপ সরকারের বোন তথা আগরতলা পুর নিগমের কর্পোরেট মীনা সরকারকে প্রার্থী করেছিলো।তিনি জয়ীও হয়েছেন নির্বাচনে।এলাকায় শুরু করেছেন কাজ।কিন্তু বাধারঘাটের প্রাক্তন বিধায়িকা মিমি মজুমদার যে ভুল করেছিলেন,একই কক্ষ পথে হাঁটতে শুরু করেছেন বর্তমান বিধায়িকা মীনা সরকার। তিনি বুঝে বা না বুঝে নিজের গায়ে গন্ধ লাগছে আবর্জনার।এই মুহূর্তে মীনা সরকারের বিরুদ্ধে এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।

বাধারঘাট সূত্রের খবর, গোটা অঞ্চলের দাগি অপরাধীরা এখন মীনা সরকারকে ঘিরে ধরছে। ঘুর ঘুর করে মীনার আশেপাশে। এলাকার দাগি জমির দালাল থেকে শুরু করে নেশা ব্যবসায়ী।খুনি থেকে অস্ত্র কারবারী। বালি মাফিয়া থেকে আন্ত রাজ্য সুপারি মাফিয়া।সবাই এখন মীনাকে আঁকড়ে ধরেই ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি করতে মনোযোগী হয়েছে।

ইতিমধ্যেই বাধারঘাট জুড়ে মিমির লোকজনকে হটানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে মীনা সরকারের লোকজন।আবার কেউ কেউ নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির কথা ভেবে মিমির শিবির ছেড়ে চলে আসে মীনার শিবিরে। যারা এখনো মিমির শিবিরে রয়েছে,তাদের সঙ্গে লড়াই শুরু হয়ে গেছে মীনার লোকজনের। অপরাধ চক্রের বাজার দখল নিতে তারা দফায় দফায় বৈঠকে বসছে । কিন্তু কোনো সুরাহা হচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবে কয়েকদিন পর শুরু হবে বন্দুক বাজি,বোমা বাজি। বাঁধারঘাটে এই সংস্কৃতি নতুন নয়। এইগুলো বাঁধারঘাটের কুটির শিল্প। এবং ধারাবাহিক ট্র্যাডিশন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি অপরাধ কোনো ভাবেই বরদাস্ত করবেন না। এরপরও মুখ্যমন্ত্রীর কথা অমান্য করে বিজেপির লোকজন লিপ্ত হচ্ছে গোষ্ঠী সংঘর্ষে। ফলে বদনাম কামাতে হবে খোদ বিধায়িকা মীনা সরকারকেই।

এখন থেকে সমাজদ্রোহীদের সংশ্রব ত্যাগ না করলে আঘাত লাগবে বিধায়িকার জন প্রিয়তাতেও।বলছেন খোদ বাঁধারঘাট অঞ্চলের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন লোকজন।তাই সাধু সাবধান।