
ডেস্ক রিপোর্টার, ১৬জুলাই।।
হাস্য কর! বছর খানেক আগে রাজ্যের মন্ত্রী রতন লাল নাথ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এবার রাজ্যের মন্ত্রী রতন লাল নাথকে ছড়িয়ে গেলেন তিপ্রামথার নেতা তথা বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা। তিনি তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোরকে জাতির জনক মাহাত্ম গান্ধীর সঙ্গে তুলনা করে একই আসনে বসিয়েছেন। ভাবুন! লজ্জারও একটা সীমা থাকা দরকার।

রবিবার এডিসির সদর দপ্তর খুমুলুঙের সিন্ডিকেট গ্রাউন্ডে ছিল তিপ্রামথার প্ল্যানারী সেশনের দ্বিতীয় দিন। এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখেন বিরোধী দল নেতা অনিমেষ দেববর্মা। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন করার সময় নেতা একজনই ছিলেন।তিনি জাতির জনক মহত্মা গান্ধী। গান্ধীজির হাত ধরেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল দেশের মানুষের।এখন তিপ্রাসাদের নেতা বুবাগ্রা প্রদ্যুৎ কিশোর। বুবাগ্রার হাত ধরেই জনজাতিদের স্বপ্ন পূরণ হবে।

জনজাতিদের কাছে বুবাগ্রাই হলেন মহাত্মা গান্ধী।
অনিমেষের এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে হাসির রোল।কেননা , নিঃসন্দেহে প্রদ্যুৎ তিপ্রাসা জাতির নেতা। এডিসি ও বিধানসভা নির্বাচনে প্রদ্যুৎ নিজের রাজনৈতিক করিশমা দেখিয়েছেন। তিপ্রামথাকে বিরোধী দলের মর্যাদা। তারজন্য কি প্রদ্যুৎকে গান্ধীজির সঙ্গে তুলনা করা যায়? মন্ত্রী রতন লাল নাথের মত তিনিও বড় ভুল করেছেন। কারণ গান্ধীজি ও প্রদ্যুৎ কিশোরকে এক আসনে বসানো, মূর্খের মত কাজ করা ছাড়া আর কিছু নয়। এই ভুলটাই করেছিলেন রতন লাল নাথ। স্বামী বিবেকানন্দ ও বিপ্লব কুমার দেবকে নিয়ে এসেছিলেন এক আসনে।

এদিন অনিমেষ দেববর্মা তার বক্তব্যের মাধ্যমে বকলমে ১৯৮০ সালের দাঙ্গার ঘটনাকে উস্কে দিয়েছেন তিনি বলেন, দাঙ্গায় প্রচুর সংখ্যক জনজাতিরা খুন হয়েছে। প্রাক্তন বৈরী নেতা বিজয় রাঙ্খলের প্রশংসা করে অনিমেষ বলেন, বিজয় রাঙ্খলের বিরুদ্ধে রাজ্যের বহু থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।কিন্তু পুলিশ কিছু করতে পারে নি।অনিমেষ তার এই কথার মাধ্যমে জনজাতি যুব সমাজকে বার্তা দিয়েছেন,তারাও অস্ত্র হাতে তুলে নিলে পুলিশ কিছুই করতে পারবে না। অনিমেষ উস্কানি দিয়ে বলেন আমরা বাঙালি “বাঙালিস্থান” দাবি করলে সরকার চুপ করে থাকে। কিছুই বলে নি। আর তিপ্রাসারা গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড দাবি করলে এটা হয়ে যায় সাম্প্রদায়িক।