* দিবা স্বপ্নে বিভোর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।

*রাজ্যে কখনো সাকার হবে না তৃণমূলের স্বপ্ন।

* বাস্তবের মাটিতে নেই তৃনমূল নেতৃত্ব।

* মাত্র ৬শতাংশ ভোটের জন্য দৌড়ঝাঁপ মমতার।



ডেস্ক রিপোর্টার,২আগস্ট

“স্বপ্ন দেখা মানুষের আধিকার।স্বপ্ন দেখতেই পারে।কিন্তু স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবের মিল থাকতে হবে।অন্যথায় স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।”বক্তা প্রদেশ বিজেপি’র সভাপতি মানিক সাহা।তৃনমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে প্রেক্ষিতে তিনি একথা বলেছেন। অভিষেক বলেছিলেন,”আগামী দেড় বছরের মধ্যেই রাজ্যে সরকার গঠন করবে তৃনমূল কংগ্রেস।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি’র প্রদেশ সভাপতি বলেন,”এই রাজ্যে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুধীর রঞ্জন বর্মনের সময় থেকেই তৃনমূল রাজ্যে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখে আসছে।কিন্তু স্বপ্ন কখনো সাকার হয়নি।এবারও হবে না। তৎকালীন সময়ে রাজ্যের বাঘা বাঘা নেতারা তৃণমূলে।”নিট” ফল শূন্য হয়েছে।তৃণমূলের কোনো স্থিরতা নেই বলেই মনে করেন বিজেপি’র প্রদেশ সভাপতি।তৃণমূলের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে রাজ্যের বহু হেভিওয়েট নেতা যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।
রাজ্য বিজেপি’র সভাপতির কথায়, তৃণমূলে কোনো লোকজন নেই।দলের পতাকা লাগাতে হয় দিন হাজিরার “শ্রমিক” দিয়ে।তারা আসবে আবার ক্ষমতায়…।
তৃনমূল কংগ্রেসের অভিযোগ,দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে আক্রমণ হয়েছে। তৃণমূলের এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপি’র সভাপতির সটান জবাব,গোটা ঘটনা ভিত্তিহীন।সোমবার রাজ্যের প্রতিটি মন্ডলে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের অনুষ্ঠান ছিলো।এই কারণেই বিভিন্ন জায়গাতে রাস্তা বিজেপি’র লোকজন দলীয় পতাকা নিয়ে সাংগঠনিক কাজ করছিলো।তখন বিজেপি’র জড়ানো বাঁশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে।তবে গোটা বিষয়টি দলীয়ভাবে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
প্রদেশ বিজেপি’র সভাপতি মানিক সাহা বলেছেন, তৃনমূল কংগ্রেস হয়তো বা ভুলে গেছে,রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,”অতিথি দেব ভব”।এই রাজ্যের মানুষ জানে অতিথিদের সঙ্গে কিভাবে ব্যবহার করতে হয়।
“আগরতলা এয়ারপোর্ট থেকে হেলিকপ্টারে করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাতা বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বিজেপির সংঠনিক অনুষ্ঠান আছে,একথা জানা সত্ত্বেও অভিষেক গাড়ি করে মাতা বাড়িতে গিয়েছেন,শুধুমাত্র নাটক মঞ্চস্থ করতে।” বলেছেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি।
সদ্য সমাপ্ত বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মানিক সাহা বলেন,”বিজেপি’র সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গাড়িতে আক্রমণ করেছিলো তৃনমূল কংগ্রেস।জে পি নাড্ডাকে হত্যার চেষ্টা করেছিলো তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী।আর ত্রিপুরাতেও কিছুই হয়নি।দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো ঝামেলা থেকে বিরত থাকতে । উদয়পুর থেকে অভিষেক যেন নিরাপদে ফিরে আসতে পারেন তার ব্যবস্থা করেছে দল। সুতরাং তৃনমূল কংগ্রেসের এই নাটক মানুষ মেনে নেবে না।রাজ্যে মানুষ অনেক বেশি সতর্ক ও সচেতন।
বাংলার প্রসঙ্গ টেনে রাজ্য বিজেপির সভাপতি মানিক সাহা বলেন, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরও সন্ত্রাস চলছে।বিজেপি’র কর্মী সমর্থকরা ভয়ে অন্য রাজ্যে গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে।তৃনমূল কংগ্রেসের এই নোংরা মনোভাব সম্পর্কে রাজ্যের মানুষ ওয়াকিবহাল।ত্রিপুরাতে এসেও তৃনমূল নেতারা তাদের সেই চরিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছে।
হঠাৎ করে রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের এই আস্ফালন কেন? সভাপতি মানিক সাহার বক্তব্য, জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেয়ে তৃণমূলের আরও ৬শতাংশ ভোটের দরকার।তার জন্যই তৃনমূল নেতৃত্ব লাফালাফি শুরু করেছে। আর রাজ্যের অল্প সংখ্যক কর্মী-সমর্থকদের দিবা স্বপ্ন দেখছেন দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্তত ত্রিপুরাতে তৃনমূল কংগ্রেসের স্বপ্ন কখনো সাকার হবে না বলেই দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন মানিক সাহা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *