ডেস্ক রিপোর্টার,২৬জুন।।
উপনির্বাচনে পুরো ও নগর ভোটের রেশ ধরে রাখতে পারল না তৃণমূল কংগ্রেস উপভোগ করেছে মমতার তৃণমূল চার বিধানসভা কেন্দ্র জামানত জব্দ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের। চার বিধানসভা কেন্দ্র মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মোট ভোট পেয়েছে ৪২৪৯টি।
আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পান্না দেব পেয়েছেন ৮৪২ টি ভোট। টাউন বড়দোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা ব্যানার্জি পেয়েছেন ৯৮৬টি ভোট। যুবরাজ নগর কেন্দ্রের প্রার্থী মৃণাল দেবনাথ পেয়েছেন ১০৮০টি ভোট। তৃণমূলের সুরমা কেন্দ্রের প্রার্থী অর্জুন নমঃশূদ্র ১৩৪১টি ভোট পেয়েছেন।অর্থাৎ সুরমা কেন্দ্রে তৃণমূল পেয়েছে সর্বোচ্চ ভোট।
রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ১লক্ষ৪৮হাজার ৯৯২। হাস্যকর বিষয় কাস্টিং ভোটের মাত্র ৪২৪৯টি ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। শতাংশের হিসেবে ২.৮ শতাংশের কিছুটা বেশি।আবার ২.৯শতাংশ থেকে কিছুটা কম। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা তাদের জামানত টিকিয়ে রাখতে হলে মোট কাস্টিং হওয়া ভোটের ন্যূনতম ৬শতাংশ ভোট পেতে হয় । অন্যথায় তাদের জামানত জব্দ হয়। নির্বাচন কমিশনের এই নিয়ম থেকে স্পষ্ট উপভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের জামানত জব্দ হয়েছে l তারা তিন শতাংশ ভোটও সংগ্রহ করতে পারেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের এই ফলাফল অবশ্যই লজ্জাস্কর।
নগর ও পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল মোট ২৩শতাংশ ভোট। এই ভোট পাওয়ার পর তৃণমূল নেতৃত্ব আত্মতুষ্টিতে ভুগতে শুরু করেন।
বঙ্গ থেকে রাজ্যে আসা তৃণমূল নেতারা নিজেদের রাজ্য রাজনীতি তৃতীয় শক্তি হিসেবে জাহির করেন। তারা গর্ব করে বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস মাত্র তিন মাসের পরিশ্রমেই ২৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে। এমনকি ২৩ ‘র বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আর সদ্যসমাপ্ত উপভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট নেমে এসেছে ২.৮শতাংশে। ভোট টেবিলে তৃণমূল নেমে গেলো উল্কার গতিতে। প্রত্যাশিত ভাবে স্থান হলো চার নম্বরে। রাজধনীর দুই কেন্দ্রে হাজার ভোটও অতিক্রম করতে পারেনি তৃণমূল প্রার্থীরা।অর্থাৎ পৌঁছতে পারে নি চার অঙ্কে।যুবরাজ নগর ও সুরমা কেন্দ্রে কোনো রকমে চার সংখ্যায় পৌঁছেছে তৃণমূলের ভোট।উপভোটে কেন চূড়ান্ত ফ্লপ করেছে তৃণমূল? ময়নাতদন্ত অবশ্যই করবে দলীয় নেতৃত্ব।
রাজনীতিকরা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের হাইটেক ভোট সমীক্ষক সংস্থা ‘আই-প্যাক’ বাংলার রাজনীতির জন্যই উপযুক্ত। ত্রিপুরাতে প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক একেবারেই বেমানান।পুর ও নগর ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস যে ২৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে, তার পেছনে আই-প্যাকের কোনো ভূমিকা ছিলো না।শুধু মাত্র, বিজেপির বিকল্প হিসাবে মানুষ সন্ত্রাস উপেক্ষা করেও তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিল l।কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব রাজ্যের মানুষের আবেগ ধরে রাখতে পারেনি।বরং তারা রাজ্যের মানুষের ভাবাবেগ নিয়ে ছেলে খেলা করেছে।পুর ও নগর ভোটের পর তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে গিয়েছিল গোয়াতে। কিন্তু গোয়া ফেরত তৃণমূল নেতৃত্ব ভাবতে পারেন নি রাজ্যের মানুষ যে তাদের পছন্দের তালিকা থেকে তৃণমূল মুছে ফেলেছে ‘ইরেজার’ দিয়ে।
কংগ্রেসকে নিয়ে তৃণমূল বারবার নাক সিটকিয়ে ছিলো।অথচ রাজ্যে কংগ্রেস একটি আসন দখল করে।তারা প্রার্থী দিয়েছিলো তিন কেন্দ্রে।কংগ্রেসের মোট প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ২৯৯৪৮।কংগ্রেসের পারফরম্যান্সের ধারে কাছে নেই তৃণমূল কংগ্রেস।চার কেন্দ্রে নোটাতে ভোট পড়েছে কাস্টিং ভোটের এক শতাংশের অধিক। মোট ভোট সংখ্যা ১৫৫২।অংকের হিসাবে রাজ্যের চার কেন্দ্রে নোটা (৪২৪৯ – ১৫৫২) থেকে মাত্র ২৬৯৭টি ভোট বেশি পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *