ডেস্ক রিপোর্টার,২৬জুন।।
“কংগ্রেস ও সিপিএম মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তারা গোপন সমঝোতার মধ্যেই উপভোটে লড়াই করেছে”। বক্তা প্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক টিংকু রায়। রবিবার ভোট গণনার শেষে বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তরে আনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন তিনি।
টিংকু রায় বলেন, দীর্ঘ ৩৯ বছর পর যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রটি সিপিএমের হাতছাড়া হয়েছে। এই উপনির্বাচনে যুবরাজ নগর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী মলিনা দেবনাথ জয়ী হয়েছেন। টিংকু রায়ের বক্তব্য, সারা রাজ্যেই বামেরা এখন গণ বর্জিত তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে উপভোটে যুবরাজ নগর বিধানসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রটি টানা ৩৯বছর ধরে বামেদের দখলে ছিল। কিন্তু এখন মানুষ বামেদের উপর আস্থা রাখতে পারছে না। স্বাভাবিক কারণেই বিজেপির উন্নয়নমুখী কার্যকলাপের উপর আস্থা রেখে উপভোটে দলীয় প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছে যুবরাজনগর কেন্দ্রের মানুষ।
টিংকু রায়ের কথায়, এই রাজ্যে সিপিআইএম ভোট দিয়ে কংগ্রেসকে ফায়দা করে দিচ্ছে।এবং কংগ্রেস ভোট দিয়ে সিপিআইএমকে ফায়দা করে দিচ্ছে। বাস্তব অর্থে কংগ্রেস ও সিপিএম একে অপরের পরিপূরক। প্রসঙ্গ টেনে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক টিংকু রায় বলেন এই রাজ্যে বামেরাও ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে l। তারও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে উপ ভোটে। প্রথমত ৩৯ বছর বামেদের দখলে থাকা যুবরাজ নগর কেন্দ্রটি এবার ধরে রাখতে পারিনি তারা। ছিনিয়ে নেয় বিজেপি।একইভাবে সুরমা কেন্দ্রে একসময় দাপট ছিল বামেদের। এ কেন্দ্রেও সিপিএম নেমে আসে তৃতীয় স্থানে। রাজধানীর দুই হেভিওয়েট কেন্দ্রেও সিপিএমের একই অবস্থা। প্রতিটি আসনে ২০১৮ সালের তুলনায় অনেক কম ভোট পেয়েছে বাম প্রার্থীরা। আগরতলায় কেন্দ্রে বাম প্রার্থী ভোট পেয়েছেন মাত্র ছয় হাজারের অধিক। একইভাবে বড়দোয়ালি কেন্দ্রে তিন হাজারের অধিক ভোট পেয়েছেন বাম প্রার্থী। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, বামেদের মানুষ আর গ্রহণ করছে না। এই রাজ্যে বামেরা এখন তৃতীয় শ্রেণীর রাজনৈতিক দলের পরিণত হয়েছে।
সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত প্রদেশ বিজেপির
মুখ্য প্রবক্তা সুব্রত চক্রবর্তী বলেন,এই উপ ভোটে দুইটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। প্রথমত বামেরা বারবার বলে থাকে তাদের শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে। কিন্তু উপভোটে রাজ্যের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রেই বামেরা তৃতীয় হয়েছে। শুধুমাত্র যুবরাজ নগর কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে আছে বামপন্থীরা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট জনমনে বামেদের আর স্থান নেই। তারা ক্রমশ জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করেছে। আর যদি তা না হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের গোপন আঁতাত রয়েছে। এই কারণেই রাজধানীর দুইটি আসনে কংগ্রেসকে সাহায্য করেছে সিপিএম। আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী। কিন্তু বড়দোয়ালীতেও চেষ্টা করেছিল বাম – কংগ্রেস। তাই কংগ্রেস প্রার্থী আশীষ কুমার সাহার ভোটও অনেকটা বেড়ে যায়। সুব্রত চক্রবর্ত্তীর বক্তব্য , কংগ্রেস ও সিপিএম একই বৃন্তের দুটি ফুল। তারা আগাম সমঝোতা করেই ভোটে লড়েছে। আগামী দিনেও এই সমীকরণকে সামনে রেখেই ২৩’ র ভোটে লড়াই করবে তারা। তবে অবশ্যই মানুষ তাদের এই ছলনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। এবং তাই বাম- কংগ্রেসকে জায়গা দেবে না রাজ্যের আমজনতা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *