ডেস্ক রিপোর্টার, ১৬মে।।
               ভারতীয়  রাজনীতিতে “সান্ট” শব্দটির আবির্ভাব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে। নোট পরিবর্তন থেকে শুরু করে তিন তালাক প্রথা তুলে দেওয়া।কৃষি আইন প্রত্যাহার,নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়ন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্টান্ট করেছেন নরেন্দ্র মোদী।
               একই কায়দায় দলীয় বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও মোদী স্টান্ট করেছেন।এবং সফল হয়েছেন।তিনি হয়ে উঠেছেন ভারতীয় রাজনীতির “স্টান্টম্যান”। পিছিয়ে নেই মোদীর রাজনৈতিক ছায়া সঙ্গী তথা বিজেপির চানক্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশীয় রাজনীতিতে মোদী – শাহ জুটির বহু রাজনৈতিক স্টান্ট আজও ইতিহাস। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে মোদী – শাহের রাজনৈতিক স্টান্ট সুপার ফ্লপ করে।


উত্তরাখণ্ড থেকে গুজরাট, ত্রিপুরা থেকে কর্ণাটক মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন করে রাজনৈতিক স্টান্ট করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী।  উত্তরাখণ্ড, গুজরাট ও ত্রিপুরায় মোদীর স্টান্ট সফল।কিন্তু কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তনের স্টান্ট বুমেরাং হয়ে যায়। কর্ণাটকে দলের সিনিয়র নেতা ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার থেকে সরানোর ঘটনা মেনে নিতে পারে নি বিজেপির নেতা – কর্মীরা। তাছাড়া সাধারণ মানুষের কাছে ইয়েদুরাপ্পাই জনপ্রিয়।বাস্তব অর্থে কর্ণাটকে মোদীর থেকে ইয়েদুরাপ্পার রাজনৈতিক টিআরপি বেশি । তা প্রমাণ হয়েছে বিভিন্ন নির্বাচনী সভায় ইয়েদুরাপ্পাকে নিয়ে সাধারণ মানুষের দেওয়া বিভিন্ন স্লোগান থেকে।


মোদী -অমিত শাহরা  প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়াকে ছাই চাপা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তনকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। উত্তরাখণ্ড, গুজরাট ও ত্রিপুরার মতো মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন ফর্মুলা কাজ দেয় নি কর্ণাটকে। কারণ অন্যান্য রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন করে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে সফল হয়েছিলেন মোদী – শাহ।কারণ সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে মোদী – শাহ থেকে জনপ্রিয় কোন রাজ্য নেতা ছিলেন না।


কিন্তু কর্নাটকের পরিবেশ ছিল অন্যরকম। সেখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়ে দুরাপ্পার জনপ্রিয়তা মোদী- শাহ থেকে অনেক বেশি ছিল। ইয়ে দুরাপ্পাকে কোণঠাসা করার ফলে কর্ণাটকে উল্টে বিজেপি কোণঠাসা হয়ে যায়।


ইয়ে দুরাপ্পার অপমান তার অনুগামীরা সহ্য করতে পারেন নি।তারা অনেকেই বসে যায়।তাই রাজনীতিকরা বলছেন,


বিজেপির কর্ণাটক পরাজয়ের প্রথম তিনটি অন্যতম কারণের মধ্যে একটি হলো মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইয়েদুরাপ্পার অপসারণ।সেই সঙ্গে মাঠে মার খেলো মোদী – শাহের রাজনৈতিক স্টান্টও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *