ডেস্ক রিপোর্টার,৫এপ্রিল।।
আসামের করিমগঞ্জ জেলার বদরপুর রেল স্টেশনে পিস্তল কাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ পালিয়ে যাওয়া যুবককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। তার নাম ইন্দ্রজিৎ কুমার যাদব। বাড়ি বিহারের শাপলা জেলায়।মঙ্গলবার সকালে পুলিশ প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে নাইল্লাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। রবিবার রাতে এই যুবক বদরপুর রেল স্টেশন থেকে পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলো। তবে রেল পুলিশ তার দুই সঙ্গী বিকাশ কুমার ও সুমন কুমার তেওয়ারীকে গ্রেফতার করেছিলো।তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিলো চারটি ৭পয়েন্ট ৫৬ পিস্তল। আটটি ম্যাগাজিন ও ১৫টি তাজাকার্তুজ।
সোমবার বদরপুর রেল পুলিশ ধৃত দুই যুবককে আদালতে সোপর্দ করেছিলো। ধৃতরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলি আগরতলার আনার উদ্দেশ্যেই তারা বহন করেছিলো। আগরতলা কাদের কাছে এই আগ্নেয়াস্ত্র’র চালান পৌঁছানোর পরিকল্পনা ছিলো? পুলিশের এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে তারা। তবে তদন্তের স্বার্থে আসাম পুলিশ কিছু বলছে না।
আসাম পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ধৃত বিকাশ কুমার ও সুমন কুমারের উগলে দেওয়া তথ্য প্রতিবেশী রাজ্যের পুলিশ ত্রিপুরা পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছে। কোন জায়গাতে, কাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বিকাশ-সুমনরা? এই সংক্রান্ত তথ্য জানতে পেরেছে ত্রিপুরা পুলিশ।ইতিমধ্যে ত্রিপুরা পুলিশের একটি টিম করিমগঞ্জে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তারাও বদরপুরে গিয়ে বিহারের তিন অস্ত্র কারবারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
আসাম পুলিশ জানিয়েছে বিহারের মুঙ্গের থেকে এই অস্ত্রের চালান আগরতলায় আসার কথা ছিলো। প্রায়শই মুঙ্গেরের তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র রাজ্যে প্রবেশ করছে রেল ও সড়ক পথে।এর আগেও রেল থেকে ত্রিপুরায় আসার পথে অস্ত্র সহ কারবারীদের গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। রাজ্যের ধর্মনগর, তেলিয়ামুড়া, জিরানিয়াতেও বিভিন্ন সময় রেল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিলো। সংশ্লিষ্ট মামলায় ধৃতদের অধিকাংশ বহিঃ রাজ্যের যুবক। এই সমস্ত ঘটনা থেকে পরিষ্কার অস্ত্র কারবারের নিটোল করিডোর ত্রিপুরা। ত্রিপুরার মাটি ব্যাবহার করে বিহারের তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র বাজারজাত হচ্ছে বাংলাদেশে। কারণ বিহারের তৈরী আগ্নেয়াস্ত্র তুলনায় সফিস্টিকেটেড, দামও কম। ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সহজ।সইজে ছোট।সব মিলিয়ে বিহারের মুঙ্গেরের তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র অপরাধীরা সহজেই বহন করতে পারে। এই কারণেই এখন গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চল সহ বাংলাদেশে মুঙ্গেরের তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র’র চাহিদা বেশি।
প্রসঙ্গত বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগে রাজ্যের উদ্দেশ্যে আসা অস্ত্রের চালান উদ্ধার হওয়ার ঘটনা রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট উদ্বেগ জনক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশারদরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *