ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
দিনভর প্রবল বর্ষণে মাটির ধস পড়ে বন্ধ হয়ে গেল জম্পুই- কাঞ্চনপুর সড়ক।মঙ্গলবার দুপুর থেকেই টানা বর্ষণে ধারাবাহিকভাবে জম্পুই- কাঞ্চনপুর সড়কে মাটির ধস পড়তে থাকে। এর ফলে ব্যস্ততম এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তার দুইদিকেই প্রচুর যানবাহন দাঁড়িয়ে যায়। অধিকাংশ গাড়িতে ছিলো পর্যটক। স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকরা জম্পুই পাহাড়ে পৌঁছাতে পারেনি পাশাপাশি এই সড়কে চলাচলকারী নৃত্য যাত্রীরা ও রাস্তায় আটকে যায় এর ফলে গোটা অঞ্চলে এক দম বন্ধ কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় পর্যটকরা।
রাস্তা বন্ধ হওয়ার পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসে প্রশাসনিক লোকজন। তারা এসেই রাস্তা পরিষ্কারের কাজে হাত লাগায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মাটির ধসের পাশাপাশি পাথরের বড় বড় টুকরো আছড়ে পড়েছে মূল সড়কে। মাটি ও পাথর সরানোর ক্ষেত্রে শ্রমিকদের হিমশিম প্রচন্ড বেগ পেতে হয়। জরুরি তলবে কাঞ্চনপুর সড়কে পরিষ্কার করতে একসঙ্গে কাজে লাগানো হয় ২০টি ডজার। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্রমিকরা টানা কাজ করে যায়। রাতেও একই পরিস্থিতি । পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য এই সড়কে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী।
জম্পুই- কাঞ্চনপুর সড়ক রাজ্যের পর্যটন শিল্পের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রতিবছরই বৃষ্টি শুরু হলে রাস্তার দুই দিক থেকে মাটি ও পাথর আছড়ে পড়ে। এবং বন্ধ হয়ে যায় সড়ক। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য স্থানীয় লোকজন বহুবার দাবি করেছে।। প্রতিবছর ধস পড়ার ফলে রাস্তাও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। অথচ এই সড়ক নির্মাণের জন্য বহু অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জম্পুই-কাঞ্চনপুর সড়ক নির্মাণেও সীমাহীন দুর্নীতি করা হয়েছিল। এর ফলে খুবই নিম্নমানের কাজ হয়েছে। তার খেসারত দিতে হচ্ছে এখন। প্রতিবারই টানা বর্ষণ হলেই রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ধস ও পাথর পড়ার পাশাপাশি রাস্তায় জল জমে যায়। জল জমার ফলে মূল সড়কেই সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খাদের। তাতে বাড়ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই জম্পুই- কাঞ্চনপুর সড়কে তৈরি হওয়া মরণ ফাঁদে বেশ কিছু দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে। সব মিলিয়ে রাজ্যের ভূস্বর্গ জম্পুই পাহাড়ে যাওযা এখন পর্যটকদের জন্য দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।