আগরতলা,১লা নভেম্বর।।
                  রক্তের বিকল্প নেই। এর কোন কারখানা নেই। মানুষের রক্তের চাহিদা মানুষকেই মেটাতে হয়। নানা প্রান্তে  রক্তদান শিবির হচ্ছে। এরপরও আপদকালীন পরিস্থিতিতে রক্তের খোঁজে হন্যে হয়ে দৌড়ঝাঁপ করতে হয় রোগীর পরিজনদের। নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত পাওয়া আরো দুষ্কর। সংগঠিত প্রচেষ্টা একমাত্র মানুষের হয়রানি লাঘব করতে পারে। তাই কিছু পরোপকারী উৎসাহী মানুষ সংগঠিত ভাবে মুমূর্ষুদের বাঁচানোর সঙ্কল্প নিয়ে কাজ করছে।
“ইমারজেন্সি ব্লাড সার্ভিস এন্ড রে অফ লাইফ” নামক সামাজিক সংস্থার ব্যানারে মুমূর্ষ রোগীদের রক্ত প্রদান করে আসছেন তারা। ২০১৯ সালে জিরানিয়া রাম ঠাকুর পাড়াতে এই সংস্থার পথচলা শুরু।  প্রথমে সংস্থার নাম ছিল “ইমারজেন্সি ব্লাড সার্ভিস অফ ত্রিপুরা” । টানা তিন বছর কাজ করার পর সংস্থাটির রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন হয়। তখন সংস্থার নতুন নামকরণ হয় ইমারজেন্সি ব্লাড সার্ভিস রে অফ লাইফ। বর্তমানে সংস্থার সদস্য সংখ্যা ৪১২৫ জন। তার মধ্যে ত্রিপুরায় ৩২০০ জন, আসামে ১০০ জন, পশ্চিমবঙ্গে ২৫ জন এবং বাংলাদেশে ৮০০ জন সদস্য রয়েছে। এই সংস্থার সদস্যরা যেমন রক্তদান করেন, ঠিক তেমনি অন্যদের রক্তদানে উৎসাহিত করে থাকেন। এ পর্যন্ত ৪২৬০ জন মুমূর্ষু রোগীর রক্তের চাহিদা মিটিয়েছেন ইবিএস। মুমূর্ষ রোগীদের রক্তের প্রয়োজন হলে, সেই চাহিদা মেটানোর জন্য  নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যান সংস্থার কর্মকর্তারা।
           সংস্থা সদস্যদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ঔষধের প্রয়োজন হলে তা সাবসিডিতে ক্রয়ের বন্দোবস্ত করে দেয়  ইবিএস। এক্ষেত্রে কয়েকটি ফার্মেসি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।রক্তের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিবির সহ নানান সামাজিক কর্মসূচির করছে  “ইমারজেন্সি ব্লাড সার্ভিস অফ ত্রিপুরা” । সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এখবর জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *