ডেস্ক রিপোর্টার,৬মার্চ।।
পাহাড়ে প্রদ্যুত ঝড় অব্যাহত। ২৩-র বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে একের পর এক পাহাড়ে জনসভা করছেন তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মন। “বুবাগ্রা”কে হাতের কাছে পেয়ে আপ্লুত গিরিবাসীরা।
রবিবার তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোর ছুটে যান রইস্যা বাড়িতে। সেখানে গিয়ে তিনি কথা বলেন গ্রামবাসীদের সঙ্গে। আবাল বৃদ্ধ-বনিতা প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেন মহারাজ। তিনি গিরিবাসীদের কাছ থেকে তাদের সমস্যার কথা শুনেন।এবং দেন সমস্যা নিরসনের আশ্বাস।
রইস্যা বাড়ি থেকে ফিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে বলেন,” আজ রইস্যা বাড়ি পরিদর্শন করলাম। দেখা করলাম সেখানকার মানুষের সঙ্গে।শীঘ্রই ফিরবো আরো কিছু নিয়ে ওখানে মানুষের জন্য। আমাদের মানুষের জন্য কত কিছু করতে হয়,কত কষ্ট,তারপরও আমাদের মধ্যে কত ভালোবাসা।”
গত বছর অনুষ্ঠিত এডিসি নির্বাচনে পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তার করেছে তিপ্রামথা। এরপর থেকে পাহাড়ে চলছে মথার বিক্রম। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে ভোটাররা যোগ দিচ্ছে তিপ্রামথাতে। ২৩-র নির্বাচনে প্রদ্যুত কিশোর যে গোটা পাহাড় দখল নেবে তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে সর্বত্র।এমনটাই দাবি করছেন রাজনীতিকরা।
ইতিমধ্যে প্রদ্যুত কিশোর আগামী বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিয়েছেন।বেশ কিছু জায়গাতে করেছেন জনসভা।প্রতিটি সভাতেই মানুষের স্বর্ত:স্ফূর্ত সাড়া পাচ্ছেন প্রদ্যুত। রবিবার একই অবস্থা হয় রইস্যা বাড়িতে। সাধারণ মানুষ প্রদ্যুত কিশোরকে পেয়ে ভেসে যায় খুশির আবহে।
প্রদ্যুত কিশোর জনজাতিদের কাছে আহ্বান রেখেছিলেন, তারা বুবাগ্রার পাশে থাকার জন্য।তিনি গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড’র জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন।অর্থাৎ জনজাতিদের অধিকার আদায়ে লড়াই করবেন তিনি। প্রদ্যুত কিশোর সরব হয়েছেন এডিসির ভিলেজ ভোট নিয়ে।প্রয়োজনে তিনি দ্বারস্থ হবেন আদালতে।রাজনীতিকরা বলছেন, এই মুহূর্তে পাহাড়ে ভিলেজ ভোট অনুষ্ঠিত হলে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। প্রদ্যুত কিশোরের দল সবকয়টি এডিসি ভিলেজ দখল করবে।এই আতঙ্ক গ্রাস করছে রাজ্যের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে। এজন্যই ভিলেজ ভোট নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে না রাজ্য সরকার।ঘুরিয়ে বললে শাসক দল।একই অবস্থা প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমের। এডিসি ভিলেজ নির্বাচনে প্রদ্যুতের এই সাফল্য ‘২৩-র মহাযুদ্ধে’ বাজিমাত করবে।অন্যদিকে শাসক দল, প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমের জন্য ডেকে আনবে অশনি সংকেত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *