স্পোর্টস ডেস্ক,৪ ফেব্রুয়ারি।।
রঞ্জি ট্রফিতে গুজরাটের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় পেলো ত্রিপুরা।প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থেকেও ছিনিয়ে নিলো ঋদ্ধিমানের দল।আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদির খাস তালুকে ত্রিপুরার বিজয় পতাকা উড়ালেন মনিশঙ্কর পারভেজ সুলতান-রা। ত্রিপুরা ১৫৬ রানের বড় ব্যবধানে জয় লাভ করে। রাজ্য দলের প্রথম ইনিংসে গড়া ১৪৬ রানের জবাবে স্বাগতিক গুজরাট ১৭২ রান করেছিলো। ২৬ রানে পিছিয়ে থেকে ত্রিপুরা দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪৩ রান সংগ্রহ করে। জয়ের জন্য ৩১৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে ত্রিপুরার বোলারদের সাড়াশি আক্রমণে মাত্র ১৬১ রানে গুটিয়ে যায় শক্তিশালী গুজরাট।
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে লাল মাটির পিচে রাজ্যের স্পিনার পারভেজ সুলতানের ঘূর্ণিতে মাথা তুলে দাড়াতে পারেনি গুজরাট। প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও পারভেজ ছিল গুজরাট শিবিরের ত্রাস। দুই ইনিংস মিলিয়ে পারভেজ তার ঝুলিতে সংগ্রহ করে একে একে দশ ব্যাটসম্যানকে। রঞ্জিত ট্রফিতে জীবনের সেরা পারফরমেন্সের জন্য পুরস্কার পান পারভেজ। তিনিই হয়েছেন ম্যাচ সেরা।ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসেও রাজ্য দলের বোলারদের তেজে কার্যত ঝলসে গেলেন গুজরাটের ব্যাটিং লাইনআপ।
এদিকে দ্বিতীয দিনের ৯ উইকেটে ৩৩০ রান নিয়ে খেলতে নেমে রবিবার আরও ১৩ রান যোগ করার পর ত্রিপুরার শেষ উইকেটের পতন হয়। শঙ্কর ৬০ রান করেন। ৩১৮ রানের লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে ত্রিপুরার বোলাররা শুরু থেকেই বিপক্ষের উপর সাড়াশি আক্রমণ করতে থাকেন। ত্রিপুরার হয়ে বিপক্ষ শিবিরে প্রথম আঘাট আনেন রাণা দত্ত।
এরপর ক্রমাগতই উইকেট হারাতে থাকেন গুজারাট। শেষ পর্যন্ত ৫২.৩ ওভার ব্যাট করে ১৬১ রানে গুটিয়ে যায় গুজরাট।দলের পক্ষে এস এ দেশাই ৪৭, উমং ৩৭, হেট প্যাটেল ৩০, সুনপ্রীত বাগ্গা ২৪ রান করেন। এছাড়া গুজরাটের আর কোনও ব্যাটসম্যান মাথা তুলে দাড়াতে পারেননি। ত্রিপুরার পক্ষে শ্রীদাম পাল ১৬ রানে,পাভেজ সুলতান ৫৮ রানে ৩ টি, এবং শঙ্কর পাল ৪৬ রানে ২ টি উইকেট দখল করেন।৯-১২ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা ষষ্ঠ ম্যাচ খেলবে চন্ডিগড়ের বিরুদ্ধে। চন্ডিগড়েই হবে ম্যাচটি। গুজরাট জয় ওই ম্যাচের আগে মনোবল বাড়াবে মণিশঙ্করদের।