ডেস্ক রিপোর্টার,২৪জানুয়ারি।।
      নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই শুরু হয়ে গেলো রাজনৈতিক সন্ত্রাস। এই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কোপে পড়ে রক্তাক্ত হলেন বনমালীপুর মণ্ডলের এসসি মোর্চার সভাপতি সুমন দাস। তাকে রাজধানীর আড়ালিয়া এলাকায় নৃশংস ভাবে কুপিয়ে জখম করা হয়।ঘটনা মঙ্গলবার সাত সকালে।এই ঘটনার পর পুলিশ একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।এবং গ্রেপ্তার করেছে দুই দুষ্কৃতিকে। গোটা অঞ্চলে বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।এলাকায় বাড়ানো হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা।প্রশ্ন উঠছে শহরের পুলিশী ব্যবস্থা নিয়েও।
          অন্যান্য দিনের মতো এদিন সকালে প্রাতঃ ভ্রমণ বেরিয়েছিলেন  বনমালীপুর মন্ডলের এসসি মোর্চার সভাপতি সুমন দাস। এই সময় তাকে আততায়ীরা আড়ালিয়া এলাকায় আটক করে।এবং দা সহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।ঘটনাস্থলেই সুমনকে রক্তাক্ত করে। তাকে অর্ধ মৃত অবস্থায় আততায়ীরা একটি ইকো গাড়ি করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।তখন পথ চলতি দুই মহিলা এই ঘটনা দেখে চিৎকার শুরু করেন।তখনই আততায়ীরা সুমনকে ফেলে দিয়ে নম্বর বিহীন ইকো গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কেটে পড়ে।
          খবর পেয়ে ছুটে আসে আশপাশের লোকজন ও পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় সুমন দাসকে নিয়ে যাওয়া হয় জিবি হাসপাতালে।খবর পেয়ে জিবি তে যান রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সভার সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে  রক্তাক্ত সুমন জানিয়ে দেয়, তাকে কারা আক্রমণ করেছে।
    এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।অজানা আতঙ্ক গ্রাস করে সাধারণ মানুষকে।
          ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তদন্তে নেমে।এবং গ্রেপ্তার করে দুই যুবককে। সুমন দাস চার যুবকের নাম উগলে দিয়েছে।পুলিশ তাদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
      বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বাম – কংগ্রেস জোটের দুষ্কৃতীরা সুমন দাসকে আক্রমণ করেছে।এই কারণেই তারা সুমনকে প্রাতঃ ভ্রমণের সময় হামলা করে।এবং নৃশংস ভাবে জখম করেছিলো।
         শাসক দল বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, এক সময় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সুমন দাসের বন্ধুত্ব ছিলো।তারা এক সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য করতো।কিন্তু কিছুদিন আগে ব্যাবসায়িক লেনদেনের সূত্র ধরে সুমনের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।এবং এই সমস্ত যুবকরা বিজেপি ছেড়ে যোগ দেয় যোগ দেয় কংগ্রেসে।ঘটনার মূল রহস্য উন্মোচনের জন্য কাজ শুরু করেছে পুলিশ।তবে নির্দিষ্ট কোন কারনে জন্য সুমনকে  হত্যার চেষ্টা করে ছিলো দুষ্কৃতীরা? এই প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা তদন্তকারী পুলিশের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *