ডেস্ক রিপোর্টার,২১মার্চ।।
রাজ্য রাজনীতিতে হঠাৎ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিলো তৃণমূল কংগ্রেস। করেছিলো হাঁসফাঁস। পুর ও নগর ভোটে ২৩শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতার অলিক স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলো তৃণমূল নেতৃত্ব।
সুদীপ রায় বর্মন,আশীষ সাহা বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিতেই উল্লাসে মেতে উঠেছিলো কংগ্রেস। কংগ্রেসিরা ভাবছিলো,”এই বুঝি মরা গাঙে জল এসে গেছে”।কিন্তু হলো না।শেষ হয়ে গেলো লমফ-জমফ!
তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেসকে ডানা মেলতে দেখে মুস্কি হাসছিলো বিরোধী দল সিপিআইএম। ভোট কাটাকাটির অংকে তারা ২৩-এ মসনদে বসার জাল বুনতে শুরু করে দিয়েছিলো।
“গত ১০মার্চ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের পর থিতিয়ে যায় বিরোধীরা।শেষ হয়ে যায় তাদের ফাসুন। আঘাত লাগে তাদের অলিক স্বপ্নে।” বলছে বিজেপি নেতৃত্ব।
বিরোধীরা বুঝে গিয়েছেন আর দৌড় ঝাঁপ করে কোনো লাভ হবে না। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে চার রাজ্যেই জয় পেয়েছে বিজেপি। ধুলোয় মিশিয়ে গেছে কংগ্রেস।আর তৃণমূল গোয়াতে গিয়ে মূলও খোঁজে পায়নি।সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে বামেরা তো অস্তিত্বহীন। এই ভাষায় রাজ্যের বিরোধীদের বিজেপি নেতৃত্ব কটাক্ষ করেছে।
রাজনীতিকরা বলছেন, পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল ২৪-র জাতীয় নির্বাচনের আগাম ইঙ্গিত দিয়েছে।অর্থাৎ অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে ফের দেশের ক্ষমতায় যে বিজেপিই আসছে সেই চিত্র প্রকট হয়ে গেছে দিনের আলোর মতো। স্বাভাবিক ভাবেই ২৩-এ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের গতিপথ কোন দিকে ধাবিত হচ্ছে তার রূপরেখাও স্পস্ট হয়ে গেছে।তা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতৃত্ব। এই কারণেই এখন তারা চুপসে গেছে ।
বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর নানান ক্ষেত্রে একটা সৃজনশীল পরিবর্তন এনেছে।রাজ্যের মানুষ তা বুঝতে পেরেছে,এতে কোনো সন্দেহ নেই।তাই নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহের জনসভায় মানুষ উপচে পড়ছে। তাছাড়া বিজেপি’র অন্যান্য মিছিল,মিটিংয়ে লোকজনের উপস্থিতি ভরকে দিয়েছে বিরোধীদের।দাবি গেরুয়া শিবিরের। বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, সিপিআইএম,কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বুঝে গিয়েছে রাজনীতির এথলেটিক্সের ট্র্যাকে দৌঁড়েও কোনো লাভ হবে না।শুধু শুধু তাদের হৃদ স্পন্দনের মাত্রাই বেড়ে যাবে। তাই হাঁফিয়ে উঠতে উঠতে এক সময় খুব দ্রুত থমকে যাবে বিরোধী দলগুলোর আস্ফালন।এমন চিত্রই দেখতে পাচ্ছেন বলে বিজেপি নেতৃত্ব’র দাবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *