ডেস্ক রিপোর্টার,২১মার্চ।।
২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ে নিশ্চিত ছিন্ন হবে বামেদের মূল।এক সময় পাহাড় ছিলো লাল দুর্গ। পাহাড়ে বামেদের এই উর্বর জমি তৈরি করে দিয়েছিলেন দশরথ-বিদ্যা-নৃপেনরা। তাদের তৈরি করা উর্বর জমির উপর দাঁড়িয়েই মানিক-জিতেনরা এতদিন রাজনৈতিক ফুটানি করে গেছেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। গিরিবাসীরা বুঝতে পেরেছে বাম নেতৃত্ব পাহাড়ে উন্নয়নের নামে ধোঁকা দিয়েছে। তারা ছিলো বিকল্পের খোঁজে।
২০১৮-র নির্বাচনে গিরিবাসীরা প্রমান করে দিয়েছে তারা নেই বামেদের পাশে। বাম নেতৃত্বের বুজরুগী তারা আচ করতে পেরেছেন।১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে লালদুর্গর ধরাশায়ী হয়েছে লাল বাহিনী।মাত্র দুইটি আসন এসেছে তাদের দখলে।সর্ব শেষ এডিসি নির্বাচনে পাহাড়ের এক সময়ের দানবীয় সংগঠন বামফ্রন্টের ভোট নেমে এসেছে ১০শতাংশে।পায়নি একটি আসনও।
২০২৩-র বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আশায় বুক বেধেছে বামেদের।বাম নেতৃত্বের দাবি, তাদের উপজাতি সংগঠন জিএমপি জিতেন্দ্র চৌধুরীকে সামনে রেখে খুঁজে পাচ্ছে পায়ের নিচের জমি। কিন্তু বামেদের সেই আশার গুঁড়ে পিঁপড়ে ধরিয়ে দিয়েছেন তিপ্রামথা ও বিজেপি। এই দুই রাজনৈতিক দলের যাঁতাকলে পাহাড় রাজনীতিতে চোখে গোলক ধা ধা দেখছে বাম নেতৃত্ব।তারা অনেকাংশেই ঘাড় ফেলে দিয়েছে।
২০২১-র এডিসি নির্বাচনের মতো ২৩শেও পাহাড় ভোটে টক্কর হবে আনারস ও পদ্মের মধ্যে। এই চিত্র পরিষ্কার। পাহাড়ে প্রদ্যুত কিশোরের গতি রোধ করতে বিজেপি ডেকে আনছে টিপিএফ নেত্রী পাতাল কন্যাকে। বিজেপি’র জনজাতি মোর্চা ও পাতাল কন্যা হাতে হাত মিলিয়ে আনারসকে কাঁটা সহ উপরে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে। গোটা সিনারিও থেকে মুছে যেতে শুরু করেছে সিপিআইএম। মথা ও বিজেপি বিক্রমে পাহাড়ে ‘রেডফোর্স’কে খুঁজে পাওয়া দুস্কর হয়ে উঠেছে। মেলারমাঠ নেতৃত্ব বিলক্ষণ তা বুঝতে পেরেছেন।
পাহাড়ে শক্তির ভাটা পড়তেই সমতলে কংগ্রেসের সঙ্গে গোপন মিতালি(এখন পর্যন্ত) করে ফের ভোটের রাজনীতিতে শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করছে।বামেদের এখন লক্ষ্য সমতলের ৪০টি আসন।ভোট কাটাকাটি অংকে সমতল থেকে কয়েকটি আসন নিজেদের ঝুলিতে ধরে রাখার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য অনুযায়ী, ২৩-র ভোটে বামেদের জন্য সমতলের রাজনৈতিক ‘লগারিদম’ আরও জটিল হয়ে উঠেছে। টানা ২৫বছরের বাম শাসনের যন্ত্রনা মানুষ এখনো ভুলতে পারিনি।
খুন, সন্ত্রাস,তোলাবাজি, দলের নামে চাঁদাবাজি মানুষের মন থেকে এখনো মুছে যায়নি। এই বিষয়টি বামেদের ব্রাঞ্চ ও অঞ্চল কমিটির লোকজন ভালোই বুঝতে পেরেছেন। এজন্য বামেদের সদ্য সমাপ্ত প্রকাশ্য সমাবেশে অনুপস্থিত ছিলেন প্রচুর অংশের ‘সদস্যরা’। এই বিষয়টি নিয়েও চিন্তিত মেলারমাঠের থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক।এমনটাই দাবি রাজনীতির বিশারদদের।