ডেস্ক রিপোর্টার,২১মার্চ।।
আগামী ৩১মার্চ অনুষ্ঠিত হবে রাজ্যসভার নির্বাচন। রাজ্যের একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে শাসক দল বিজেপি ও বিরোধী দল সিপিআইএম। বিধানসভার সংখ্যা তত্ত্বের বিচারে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি’র প্রার্থী ডা:মানিক সাহা।
রাজ্য সভার ভোট নিয়ে বিজেপি’র অন্দরে চলছে নানান গুঞ্জন। দলীয় প্রার্থীর জয় প্রায় নিশ্চিত হলেও কয়েকজন বিধায়ক সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। শাসক জোটের এই বিধায়কদের চিন্তার ভাজ পড়েছে দলের থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের। আসন্ন রাজ্য সভার ভোট দানে বিরত থাকতে পারেন শাসক দলের দুই জনজাতি বিধায়ক তথা সংস্কারপন্থী বুর্বমোহন ত্রিপুরা ও দিবাচন্দ্র রাংখল।শরিক দল আইপিএফটি’রও কয়েকজন বিধায়ক সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। ইতিমধ্যে আইপিএফটি’র সুপ্রিমো অসুস্থ এন সি দেববর্মা ঘোষণা দিয়েছেন শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি রাজ্যসভার ভোট দানে বিরত থাকতে পারেন।অন্যদিকে বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা ভোট দিতে আসবেন কিনা তাও জল ঘোলা হচ্ছে।তিনি স্বেচ্ছায় বিধায়ক পদ ও আইপিএফটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিয়েছেন তিপ্রামথাতে। যদি তিনি আসেন তাহলে আইন অনুযায়ী বৃষকেতুর ভোট বৈধ হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
রাজনীতিকদের দাবি, বিজেপি’র ৪/৫টি ভোট নষ্ট হলেও প্রার্থী ডা:মানিক সাহার জয় পেতে কোনো সমস্যা হবে না।এই মুহূর্তে বৃষকেতুকে বাদ দিলেও বিজেপি-আইপিএফটি’র কাছে ৪০টি ভোট রয়েছে।যদি এনসি দেববর্মা না আসেন বা আরো কয়েকজন বিধায়ক ভোট দান থেকে বিরত থাকেন,তাহলেও সমস্যা হবে না। কারণ প্রধান প্রধান প্রতিপক্ষ সিপিআই এমের ভোট ভোট সংখ্যা ১৫। সেই অর্থে বিজেপি ৫/৬ ভোট কম পেলেও জয় নিয়ে চিন্তার কোনো বিষয় নেই।তবে দলের অন্দরে ফাটল আরো প্রকাশ্যে চলে আসবে।
বিজেপি’র নেতৃত্বের সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন বিধায়ক বুর্বমোহন ত্রিপুরা ও দিবাচন্দ্র রাংখল।তারা সংস্কারপন্থী হিসাবে সিলমোহর পেয়ে গেছেন। বুর্বমোহন প্রকাশ্যে কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মনের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এখন দলও তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সম্প্রতি করবুক এলাকা সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। হয়েছে উন্নয়ন মূলক কাজের উদ্বোধন।কিন্তু এসব অনুষ্ঠানে রাখা হয়নি স্থানীয় বিধায়ক বুর্বমোহন ত্রিপুরাকে।তা থেকে পরিষ্কার দলের কাছেই গুরুত্ব হীন হয়ে উঠেছেন বুর্বমোহন।একই অবস্থা দিবা চন্দ্র রাংখলের।তাকে নিয়ে দল ভাবতে নারাজ।তিনি গুরুত্বহীন। বিধায়ক বরাবর ছিলেন বিজেপি’র প্রাক্তন বিধায়ক সুদীপের লবির। সুদীপ দল ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় দিবা চন্দ্রও বিজেপিকে আলবিদা জানাবেন।তবে এখন পর্যন্ত দিবা চন্দ্র আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।তবে সুদীপের সঙ্গে তাঁর যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।এই কারণেই দিবা চন্দ্রও ভোট দান থেকে বিরত থাকতে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশারদরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *