তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,২৫জুলাই।।
পাহাড়ে ফের বারুদের গন্ধ। আসন্ন স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে রাজ্যের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটির সদস্যদের আনাগোনা বাড়ছে পাহাড়ে। চলতি বছর রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে এডিসির ভিলেজে কমিটির নির্বাচন। এবং বছর ঘুরলেই অনুষ্ঠিত হবে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটের বছর জঙ্গলে বিশ্বমোহন গোষ্ঠির পদচারণা নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
গোয়েন্দারা খবর অনুযায়ী,চার সদস্যের বৈরী দলটি বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত বেড়া অতিক্রম করে মনিপুরে প্রবেশ করে। এরপর সন্তর্পনে তারা আশ্রয় নেয় রাজ্যের পাহাড়ি অঞ্চলের নিরাপদ ডেরায়। বৈরী দলটি ভারী অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত।তাদের হাতে রয়েছে একে৪৭ রাইফেল।
গোয়েন্দার দাবি, গত২১ জুলাই ধলাই জেলার এমকে পাড়া এবং উদয় সিং পাড়াতে চার সদস্যের বৈরী দলটিকে অস্ত্র হাতে ঘুরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিলো। এর পরের দিন গঙ্গানগরের শান্তিরাম পাড়াতেও বৈরীরা বিচরণ করেছিলো।
জঙ্গলের অন্দরে খবর, চারজনের এই জঙ্গি দলটির নেতৃত্বে রয়েছে এনএলএফটির সার্জেন্ট বিক্রম বাহাদুর জমাতিয়া। তার সঙ্গে থাকা তিনজনের মধ্যে একজন বিশ্বমোহন গোষ্ঠীর হার্ডকোর বৈরী।বাদবাকি দুই জন এনএলএফটির স্লিপার সেলের এজেন্ট।তাদের কাছে রয়েছে ছোট অস্ত্র। তারা পিস্তল, রিভলভার জাতীয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই জঙ্গলে ঘোরাফেরা করছে। মূলত পাহাড়ের গহন অরণ্যে জঙ্গি নেতা বিক্রম বাহাদুরের সহযোগী হিসাবে কাজ করছে এই দুই যুবক।
খোয়াই জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্রের খবর, জঙ্গি দলটি কাকড়া ছড়া,নোনা ছড়া এবং তৈদু অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করছে। বৈরী দলটির নিশানায় রয়েছে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী। এনএলএফটি বৈরীদের এপার সীমান্তের আসার খবরে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ – গোয়েন্দা। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বাড়ানো হয়েছে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর টহল। ইতিমধ্যেই পুলিশ ও টিএসআর যৌথভাবে শুরু করেছে জঙ্গল অভিযান।
দিনরাত ২৪ঘণ্টা জঙ্গিদের সন্ধানে চলছে চিরুনী তল্লাশি।এনএলএফটি বৈরীদের জঙ্গলে প্রবেশের ঘটনার প্রেক্ষিতে ডিআইজি কেরি মারাক, খোয়াই জেলার এসপি ভানুপদ চক্রবর্ত্তী এবং টিএসআরের ১২নম্বর ব্যাটেলিয়নের কমান্ডেন্ট রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। এই বৈঠকেই বিশ্বমোহন গোষ্ঠির বৈরীদের পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানানোর রণ কৌশল তৈরি করে পুলিশ – টিএসআর।