সাব্রুম ডেস্ক,১৩ জুলাই,
গ্রাম উন্নয়নের অর্থ লুঠ। রেগার ফান্ড থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন গ্রাম প্রধানের বিরুদ্ধে।সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জিড়িয়ে রয়েছে পঞ্চায়েত সচিব ও জিআরএস।ঘটনা সাব্রুমের সাতচাঁদ ব্লকে। কার আঙ্গুলি হেলনে শ্রম দিবসের নামে অর্থ লুন্ঠন।প্রশ্ন উঠছে স্থানীয় জনমনে। তথ্য বলছে সাতচাঁদ ব্লকের ৯৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ভালো করে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসতে পারে বড় আর্থিক ঘোটালা।বাম জামানায়ও সাতচাঁদ ব্লকে হয়েছিলো আদা কেলেঙ্কারি।সেই ভূত কি এখনো তারা করছে? উঁকি দিচ্ছে নানান প্রশ্ন।
২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজিপি-আইপিএফটি জোট সরকার গঠন করে। ক্ষমতায় আসার এক বছর পর রাজ্যে অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। সাব্রুমের সাতচাঁদ ব্লকের অন্তর্গত ৩৯-টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয় পায় শাসক দল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর,হয় শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়া । মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েত প্রধানদের জন্য ৫০০০-টাকা ও উপ-প্রধানদের জন্য ৪০০০-টাকা করে বেতন ভাতা দেওয়া ঘোষণা করেছিলেন।মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য ছিলো প্রধান-উপপ্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্যদের দুর্নীতিমুক্ত রাখা।
প্রত্যেক ব্লকে বিডিওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রধান ও উপপ্রধানদের রেগার থেকে শ্রম দিবস না দেওয়ার জন্য । অথচ সাব্রুমের উত্তর ভুরাতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রণয়ন দাস ও কলাছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুনীল ত্রিপুরা ২০২০-২০২১ অর্থবছরের রেগার ফান্ড থেকে বিভিন্ন রকম কাজে অজুহাত দেখিয়ে শ্রম দিবসের নামে টাকা লুঠ করেছেন।সারাসারি তাদের বিরুদ্ধে উঠছে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ।এই ঘটনায় জড়িত পঞ্চায়েত সচিব সহ জিআরএস। সংশ্লিষ্ট দুই পঞ্চায়েত প্রধান অন্যান্য সদস্যদেরও কোনো পাত্তা দিতে নারাজ।নিজেদের মর্জি মাফিক তারা লুঠ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলছেন খোদ পঞ্চায়েত সদস্যরা।

কলাছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান সুনীল ত্রিপুরা বামফ্রন্ট ক্ষমতায় থাকাকালীন শেষ
১০ বছর তিনি ছিলেন প্রধান।নিজের মত করেই চালিয়ে ছিলো লুন্ঠন। ২০১৮-তে বিজেপি-আইপিএফটি রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর সুনীল ত্রিপুরা নিজের রাজনৈতিক ছলম পাল্টে নেয়।তিনি ফের হয়ে যান প্রধান।বা,তারপর তো আর পেছনে তাকানোর কোনো সুযোগই নেই।
শুধু তাই নয় সাতচাঁদ আর, ডি, ব্লকের অন্তর্গত ৩৯-টি গ্রাম পঞ্চায়েত এরমধ্যেই বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতেই একই কায়দায় চলছে বলে অভিযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *