ডেস্ক রিপোর্টার,২৮ জুলাই:
” ত্রিপুরায় নেই গণতন্ত্র। এখানে মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না।বিজেপি সরকার স্বৈরাচারী।”—বক্তা ব্রাত্য বসু।তিনি বাংলার তৃণমূল নেতা তথা শিক্ষামন্ত্রী।বুধবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা বলেন তিনি। রাজ্যে “আই-পেকে”র টিমকে আটক করার ইস্যুতেই ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল আগরতলায় এসেছেন। ব্রাত্য বসুর সঙ্গে ছিলেন বাংলার আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক ও তৃণমূল নেতা ঋতব্রত ব্যানার্জী।
বুধবার সকালে বিমানের ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে টিএমসির প্রতিনিধি দল আগরতলা বিমান বন্দরে আসেন।সেখান থেকে তারা চলে আসেন আগরতলা প্রেস ক্লাবে।এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্য সরকারকে একহাত নেন।তিনি বলেন, “এই রাজ্যে মানুষের কথা বলার শক্তি ছিনিয়ে নিয়েছে রাজ্য সরকার ও শাসক দল।”তার জ্বলন্ত উদাহরণ “আই-পেকে”র টিমের সদস্যদের আটক করা।
বাংলার আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের কথায়, “আই-পেকের টিম কোনো সন্ত্রাসী দল নয়। রাজ্য সরকারের নির্দেশে পুলিশ তাদের আটক করে রেখেছে। অথচ তাদের কাছে আপত্তিকর কোনো জিনিস পাওয়া যায়নি।বিনা কারণে পুলিশ পিকের টিমকে হেন্যস্থা করেছে।”
রাজ্যে টিএমসির প্রসঙ্গ টেনে বাংলার শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন,”ত্রিপুরাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো কমিটি নেই।তবে খুব শীঘ্রই নয়া কমিটি গঠিত হবে।কোন কোন নেতাদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠিত হবে তা অবশ্যই জানান নি ব্রাত্য। বাংলার শিক্ষামন্ত্রীর কথা থেকে স্পস্ট “এই মুহূর্তে রাজ্যের নেতৃত্বহীনতায় ভুগছে টিএমসি।” তবে ত্রিপুরাতেও যে তৃণমূলের খেলা শুরু হতে চলেছে তা অকপটে স্বীকার করেছেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী।
একসময়ের বাম নেতা তথা হলে টিএমসি নেতা ঋতব্রত ব্যানার্জীর,ভাষায় পিকের টিমের সঙ্গে এই ঘটনা তৃণমূল ছেড়ে কথা বলবে না।তারজন্য প্রস্তুত ঘাসফুল শিবির।সম্ভবত বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার রাজ্যে আসতে চলছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী ও আই-পেকের সুপ্রিমো প্রশান্ত কিশোর।
রাজ্যে অবস্থানরত আই-পেকের টিমের সদস্যরা এখনো “গৃহবন্দি”।তবে দুয়েকজনকে হোটেল থেকে বের হওয়া ছাড়পত্র দিয়েছে পুলিশ।তাদের বিরুদ্ধে পূর্ব থানা কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে।এবং তাদের আদালতেও তোলা হবে বলে জানিয়েছেন,পূর্ব থানার ওসি সরোজ ভট্টাচার্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *