ডেস্ক রিপোর্টার, ১৬মে।।
        দিদিমণি থেকে বিধায়িকা। উত্থান উল্কার গতিতে। পতন তার চেয়েও দ্রুত গতিতে। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই রাজনীতির ঘরে নিঃস্ব হয়ে যান। বিপন্ন হয়ে উঠছে রাজনৈতিক জীবনও। যে কোন সময় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে রাজনৈতিক অস্তিত্বও। তিনি বাঁধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়িকা মিমি মজুমদার।


এই মুহূর্তে মিমি মজুমদার তার রাজ পাট হারিয়ে বিষন্ন মনে চক্কর কাটছেন বাঁধারঘাটে।কিন্তু তাকে কেউ পাত্তা দিচ্ছে না।সাধারণ মানুষের কাছে তার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোটায়। তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ২৩- র মহা যুদ্ধের আগেই।শাসক দল বিজেপি মিমি মজুমদারকে নির্বাচনে প্রার্থী করার দুঃসাহস করতে পারেনি। কারণ মিমিকে প্রার্থী করলে বাঁধারঘাট কেন্দ্রের বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত। এটা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই স্ট্যান্ডিং বিধায়িকা মিমিকে প্রার্থী করে নি বিজেপি। তৎসঙ্গে মিমির ভাগ্য আকাশে নেমে এসেছিল ঘোর অন্ধকার।


মিমি মজুমদার সরকারী চাকরী ছেড়ে দিয়ে যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতিতে। বাঁধারঘাট কেন্দ্র থেকে উপ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন।কিন্তু সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই যে তার রাজনৈতিক জীবন সমাপ্ত হয়ে যাবে তা স্বপ্নেও ভাবেনি তিনি। এখন মিমি নেই ক্ষমতার অলিন্দে। তার পেছনে নেই লোকজনের লাইন। সঙ্গে লোকজন না থাকলে নেতাও গুরুত্বহীন। এটা চিরন্ত সত্য।এটাই হয়েছে মিমির ক্ষেত্রেও।


দিনের পর দিন বাঁধারঘাট রাজনীতিতে বিবর্ণ হয়ে উঠছেন প্রাক্তন বিধায়িকা মিমি মজুমদার।এখন মিমি মজুমদার বাঁধারঘাট মণ্ডলের দায়িত্ব নিতে চাইছেন।কিন্তু সরকার পরিবার মণ্ডল সভাপতি করতে চাইছেন নিজেদের অনুগত লোকজনকে।এক্ষেত্রে মিমির প্রথম কাটা সরকার পরিবার।


তারা কোনো ভাবেই মিমিকে মণ্ডল সভাপতি হিসাবে যে মেনে নেবেন না, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তাছাড়া দলের একাংশ নেতা-কর্মী মিমির পূর্বের কার্যকলাপ এখনো ভুলে নি। তাই তারাও মণ্ডল সভাপতি হিসাবে মিমিকে মেনে নেবে না।এটা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *