ডেস্ক রিপোর্টার,১১জুলাই।।
সরোবর নগরীতে ইতিমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে প্রদেশ বিজেপির কার্যকারিনী বৈঠক।এই বৈঠকে প্রদেশ নেতৃত্ব তৈরি করেছে ২৩’র রোড ম্যাপ। তাহলে ২৩’র রণক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরকে নেতৃত্ব দেবে কে?
আগামী বছর “ত্রিপুরা” দখলের রণভূমিতে সরকারের হয়ে প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব পালন করবে মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। এটা পরিষ্কার। মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী করেই ২৩’র ভোট যুদ্ধে লড়াই করবে পদ্ম শিবির। ভারতীয় জনতা পার্টি দিল্লীর নেতৃত্বে সাম্প্রতিক কার্যকলাপ থেকেও তা প্রকট হয়ে উঠেছে। এবং মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা খোদ এই সংক্রান্ত বক্তব্য রেখেছিলেন।
পার্বত্য ত্রিপুরার পদ্ম বনের সেনানিদের প্রশ্ন, কে হবে দলের প্রধান মুখ অর্থাৎ সভাপতি? যার নেতৃত্বে ২৩’র মহারণে তেল খাওয়া মেশিনের মত কাজ করবে ভারতীয় জনতা পার্টির গোটা সংগঠন। এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হামেশাই খটকা বাধছে বিজেপির নেতা- কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ সমর্থকদের মধ্যে। কারণ ২৩’র নির্বাচনের আগে দলের সভাপতি চেয়ারে আসবেন নতুন মুখ। এটা নিশ্চিত। তাহলে কে হবেন প্রদেশ সভাপতির মিউজিক্যাল চেয়ারের “অধিপতি”?
রাজধানীর কৃষ্ণনগরস্থিত গেরুয়া বাড়ির অন্দরমহল থেকে এই মুহূর্তে ভেসে আসছে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী রামপ্রসাদ পালের নাম। তিনি নাকি হচ্ছেন, রাজ্য বিজেপির ২৩র মহাযুদ্ধের সংগঠনিক সেনাপতি। অর্থাৎ রামপ্রসাদ পালি হচ্ছেন প্রদেশ বিজেপির পরবর্তী সভাপতি। ভোটের মুখে তাকেই মিউজিক্যাল চেয়ারের অধিপতি করে ভোট ময়দানে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে গেরুয়া শিবির। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, সম্প্রতিকালে রামপ্রসাদ পাল বেশ কয়েকবার দিল্লিতে অবস্থান করেছিলেন। দেশের রাজধানীতে ভারতীয় জনতা পার্টির অলিন্দে বসে থাকা নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন। আলোচনা করেছেন রাজ্য দলের সাংগঠনিক শক্তি নিয়েও। দিল্লি নেতৃত্ব নাকি মন্ত্রী রামপ্রসাদ পালকে সভাপতির মিউজিক্যাল চেয়ারে বসানোর জন্য আশ্বাস দিয়েছেন। এমন খবরই ঘুরপাক খাচ্ছে কৃষ্ণনগরস্থিত গেরুয়া বাড়ির প্রতিটি রন্ধ্রে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের কারামন্ত্রী তথা সূর্যমনি নগর কেন্দ্রের বিধায়ক রাম প্রসাদ পাল নাকি সভাপতির মিউজিক্যাল চেয়ারের দৌঁড়ে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় টিআরপিতে এগিয়ে রয়েছেন।
বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, রামপ্রসাদ পালের সঙ্গে এই মুহূর্তে সভাপতির চেয়ার নিয়ে টক্কর চলছে দলের সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মনের। দিল্লির একটা অংশ চাইছে, কিশোর বর্মনকে প্রদেশ সভাপতি করতে। রাজ্য বিজেপির একাংশ নেতৃত্বেরও সাই রয়েছে তাতে। ডাঃ মানিক সাহা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই বিজেপির অন্দরমহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল কিশোর বর্মনকে নিয়ে। কিশোরই হচ্ছেন প্রদেশ বিজেপির পরবর্তী সভাপতি। অন্তত এই বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিক ভাবেও ছড়িয়ে পড়েছিলো। কিন্তু সম্প্রতি তাতে কিছুটা ভাটা পড়েছে বলে মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের রাজনীতিকরা।
এই মুহূর্তে টিআরপির সূচক ঘুরছে মন্ত্রী রামপ্রসাদ পালের দিকেই। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িপাল্লায় ভারী হয়ে উঠছেন রাম প্রসাদ পাল এবং কিছুটা হালকা হচ্ছে কিশোর বর্মন।খবর কৃষ্ণনগরের গেরুয়া ভবনের অন্দরে।তবে দৌঁড়ে আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবও।দিল্লির খবর অনুযায়ী, বিপ্লব কুমার দেবকে রাজ্যসভাতে পাঠানোর চিন্তা ভাবনা রয়েছে দলের সর্ব ভারতীয় নেতৃত্বের।তাই সভাপতির মিউজিক্যাল চেয়ারের দৌঁড় কিছুটা পিছিয়ে থেকেই শুরু করতে হচ্ছে বিপ্লব কুমার দেবকে।