* রেল ইয়ার্ডের মধুর ভাণ্ড’র ক্রিম কে খেয়েছেন?

* ঘুরপথে কি ফের ক্রিম বাগলদাবার চেষ্টা করছেন?

* স্থানীয় “জন দর্পনে” স্পস্ট সেই চিত্র।

* সময়েই মুখ খুলবে আমজনতা।

* তখনই বেরিয়ে আসবে রাজনীতির সেই “লম্বা কালো হাত”।



ডেস্ক রিপোর্টার,৩ আগস্ট:
দীর্ঘদিন ধরেই জিরানিয়া রেল ইয়ার্ড “মধুর ভাণ্ড”।
এই মধুর ভান্ডে কারা রেল মাফিয়া,কারা লরির মালিক বা কারা চালক, কারাই বা খালাসি? পুলিশ হয়তো বা ভুলেই গিয়েছে।তাই জিরানিয়া রেল ইয়ার্ড থেকে লরির মালিক,লরি চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করে পুলিশ দাবি করছে,ধৃতরা “রেল মাফিয়া”। হয়তো বা পর্দার আড়ালে কিছু থাকতেও পারে। ধৃতদের পুলিশী সনাক্তকরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে জনমনে।
বিগত কিছুদিন ধরেই জিরানিয়া রেল ইয়ার্ডের ঝামেলা চলছিলো।নানান অভিযোগ এসেছিলো মুখ্যমন্ত্রীর কানে।তিনি বাধ্য হয়ে সরে জমিনে গিয়েছিলেন রেল স্টেশনে। স্টেশনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন,জিরানিয়া রেল ইয়ার্ড ও মাধববাড়ি ট্রাক টার্মিনালে চলবে না সিন্ডিকেট রাজ। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর বন্ধ হয় সিন্ডিকেটরাজ। রেল ইয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রশাসনকে।
প্রশাসনের লোকজন রেল ইয়ার্ড পরিচালনা করাতে তৈরি হয় নতুন সমস্যা।এই অভিযোগ খোদ লরির মালিক ও চালকদের।পাশাপাশি পণ্যের মালিকদের সঙ্গেও বেশ কয়েকবার প্রশাসনিক আধিকারিকদের বাক বিতণ্ডা হয়েছে।তাদের অভিযোগ, প্রশাসনিক লোকজন রেল ইয়ার্ডের কাজ কর্ম সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারছেন না।
সম্প্রতি মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এখন রেল ইয়ার্ডের কাজকর্ম চলবে মাধববাড়ি ট্রাক টার্মিলাল থেকে।অর্থাৎ লরির মালিক ও চালকদের একবার আসতে হবে মাধববাড়িতে।সেখান থেকে নিতে হবে ছাড়পত্র।তারপর লরি যাবে রেল ইয়ার্ডে।প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছে লরির মালিক,চালক ও খালাসিরা।প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মঙ্গলবার একাংশ মালিক,চালক ও সহচালকরা চাক্কা জ্যামের ডাক দেয়।তারা ধরণাও দেয়।এই খবর পেয়ে জিরানিয়া থানার পুলিশ তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।এবং নিয়ে আসে থানায়। ধৃতরা হলো বিশ্বজিৎ দাস,গোবিন্দ দেবনাথ, জয়নাল মিয়া,গোপাল সাহা,স্বপন দাস ও জলহস মিয়া। জিরানিয়া পুলিশের দাবি তারা রেল মাফিয়া।
কিন্তু বাস্তব অর্থে তাদের মধ্যে দুইজন গাড়ির মালিক।চারজন চালক ও একজন খালাসি। এবার পুলিশ তাদের রেল মাফিয়া হিসাবে দিয়েছে সিলমোহর।তবে আসল কুশীলবরাতো এখনো পর্দার অন্তরালে। গোটা ঘটনার পেছনেই রয়েছে রাজনীতির লম্বা হাত।এক সময় মাজলিশপুর মন্ডলের শাসক দলের বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিদের বিশ্বস্ত পকেটেই পৌঁছতো মোটা অংকের অর্থ রাশি।রেল ইয়ার্ডে কান পাতলেই শুনা যায় এইসব উপাখ্যান।এখন ‘মধুর ভান্ড’ রেল ইয়ার্ড থেকে প্রশাসনের উদ্যোগে সরিয়ে ট্রাক টার্মিনালে নেওয়াতে রাজনীতির লম্বা হাতের খেলোয়াড়দের খেলতে আরো সুবিধা হবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *