ডেস্ক রিপোর্টার,১৩জানুয়ারি।।
রাজ্যে লাগামহীন ভাবে আছড়ে পড়ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। লাগামহীন ভাবে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। রকেট গতিতে গোটা রাজ্যে করোনা ছড়িয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যেই আক্রান্তদের মধ্যে কাউকে কাউকে না ফেরার দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে করোনা। প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনার এতোটা ক্ষিপ্রতা দেখা যায়নি।কিন্তু তৃতীয় ঢেউয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে এক মানব দেহ থেকে অন্য মানব দেহে করোনার বিস্তার ঘটছে। প্রশাসনের কাছেও কিছু করার নেই। শুধুমাত্র মানুষের সচেতনতাই পারে করোনার শৃঙ্খল রুখতে।বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ঘন্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৯১৬জন।মৃত্যু হয়েছে একজনের।এখন পর্যন্ত তৃতীয় ঢেউয়ে করোনার কামড়ে মোট মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।এই সময়ে মোট পরীক্ষিত নামুনার সংখ্যা ছিলো ১০,০৬৮টি।তার মধ্যে আরটিপিসিআর টেস্ট হয়েছে ৭৫৭টি এবং এন্টিজেন টেস্টের সংখ্যা ৯৪১৭। আরটিপিসিআর টেস্টের মধ্যে ৬৮জনের শরীরে পাওয়া গেছে কোভিড-১৯-র সন্ধান।একই ভাবে এন্টিজেন টেস্ট থেকে ৮৪৮জনের দেহে মিলেছে করোনা ভাইরাস। গত ২৪ঘন্টায় গোটা রাজ্যে করোনা আক্রান্তের শতকরা হার ৯.১০ শতাংশ।এই সময়ে করোনা জয়ী হয়েছে ১১২জন।আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার অনেক কম।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের জেলা ভিত্তিক হিসাব অনুযায়ী, শেষ একদিনে আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে পশ্চিম জেলা।এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৫৫৯জন।তারপর রয়েছে ধলাই।আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬। আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিপাহিজলা। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬। ৫৫জন আক্রান্তকে নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে গোমতী।দক্ষিন জেলা ও ঊনকোটি জেলা ৪৯ জন করে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে রয়েছে পঞ্চম স্থানে।তালিকার নিচে উত্তর জেলা।আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪।
চলতি মাসের প্রথম ১৩দিনে রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩১৪৫জন। প্রতিদিন গড়ে ২৪১ জনের অধিক আক্রান্ত হচ্ছে করোনায়। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে গোটা রাজ্যেই নাইট কার্ফুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।এবং আরোপ করা হয়েছে করোনার সমস্ত বিধি নিষেধ। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, “কোভিডের তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রাজ্য সরকার।তবে এখন পর্যন্ত স্বস্তির বিষয় রাজ্যে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রনে’র সন্ধান পাওয়া যায়নি। নমুনা পাঠানো হয়েছে বহিঃ রাজ্যে। তবে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, আগামী ১০-১২দিন সতর্ক হয়ে চলাফেরা করলেই করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।