ডেস্ক রিপোর্টার,২৩মার্চ।।
সোনায় সোহাগা শাসক দল বিজেপি’র। পাতাল কন্যার টিপিএফের পর এনসি দেববর্মার আইপিএফটিও মিশে যাবে পদ্ম বনে। এমনই ইঙ্গিত এনসির রান্না ঘরের। এই মুহূর্তে পাহাড়ে আইপিএফটি সাইনবোর্ড সর্বস্ব। তিপ্রামথা ও বিজেপি’র যাঁতাকলে আইপিএফটি’র ত্রাহি ত্রাহি ডাক ছুটছে। পাহাড়ের বর্তমান পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করলেই তা স্পস্ট হয়ে যায়।
আইপিএফটি’র খবর অনুযায়ী, দলের তৃণমূল স্তরের সিংহভাগ কর্মী-সমর্থক শামিল হয়েছে তিপ্রামথাতে। বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা অনেক আগেই আইপিএফটিকে আলবিদা জানিয়ে তিপ্রার আনারস বাগানে চলে গেছেন।পাহাড়ের অধিকাংশ জায়গাতে নেই আইপিএফটি’র অফিস।কিছু কিছু জায়গাতে থাকা অফিস গুলি এখন তিপ্রামথার দখলে।ফত ফত করছে তিপ্রার পতাকা আইপিএফটি’র নাম গন্ধও নেই।
পাহাড়ের বিভিন্ন বিধসনসভা কেন্দ্রে থাকা আইপিএফটি’র বিধায়করা মথার লোকজনের কারণে মাথা তুলতে পারছেন না। প্রয়োজনে মথার লোকজনের সঙ্গে সমঝোতা করে চলার চেষ্টা করছেন আইপিএফটি’র বিধায়করা। কয়েকজন বিধায়ক মানসিক ভাবে তিপ্রাকেই সমর্থন করছে।আবার কেউ কেউ আস্থা রাখছেন বিজেপি’র উপর।কথা বলছেন বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে।তার সরাসরি বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসায় শুরু করেছেন।অর্থাৎ পরিষ্কার ভাবে বললে, আইপিএফটি’র তৃণমূল স্তরের কর্মীরা প্রদ্যুত কিশোরের হাত ধরেছে।আর আইপিএফটি’র মন্ত্রী – বিধায়করা আড়াআড়ি ভাবে দুই ভাবে বিভক্ত হয়ে গেছে।একদল হাত বাড়িয়েছে প্রদ্যুতের দিকে।অন্য দল হাত বাড়িয়ে বিজেপি’র দিকে।
বিধানসভা ভোট হবে আগামী বছর।তার আগে পর্যন্ত আইপিএফটি’র বিধায়কদের একটা অংশ ধর্য্য বসে থাকবেন বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার জন্য।তারপরই তারা ঝুঁকবে তিপ্রাতে।অপর অংশ বিধানসভা ভোটের আগেই বিজেপিতে আসবেন।এমন খবর এন সি’র দরবারে। এই মুহূর্তে এনসি দেববর্মা অসুস্থ। এক প্রকার তিনি সন্ন্যাস নিয়েছেন বলা চলে। বয়সের কারণে দলের উপর তাঁর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। আগামী বিধানসভা ভোটে তিনি লড়বেন না।এটাও স্পস্ট।এখন মেবার কুমার জমতিয়া দলটাকে ধরে রেখেছেন। তবে দলের বিধায়কদের মধ্যে মেবার কুমারের তেমন কোনো জনপ্রিয়তা নেই। মেবার নিজেও দ্বিধাদ্বন্দ্বে। তিনি বিজেপি’র সঙ্গে যাবেন,না মথাতে।তবে শেষ মুহূর্তে তিনি নেবেন সিদ্ধান্ত। আইপিএফটি’র মোট বিধায়ক সংখ্যা আট জন।তার মধ্যে বৃষকেতু চলে গেছেন তিপ্রাতে। এনসি-মেবার মন্ত্রী। আর অবশিষ্ট রইলো পাঁচজন।তাদের মধ্যে রাইমাভ্যালির বিধায়ক ধনঞ্জয় ত্রিপুরা ঝুকে আছেন তিপ্রামথাতে। বাকি রইলো চারজন। মান্দাইয়ের বিধায়ক ধীরেন্দ্র দেববর্মা আছেন বিজেপি’র দিকেই। কারণ তার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের ঘরে ঝুলছে সাংবাদিক শান্তনু হত্যা মামলা। বাদবাকি তিন বিধায়কের মধ্যে দুইজন ইতিমধ্যেই বিজেপিতে আত্মসমর্পণ করতে চলছেন।বাকি একজন মথার দিকে।কারণ তারা জানেন আগামী কয়েকমাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত না নিলে ২৩-র ভোটে টিকিট পেতে হ্যাপ পোহাতে হবে।এই কারণেই তারা নিজেদের মতো করে রাজনীতির আগামী ভবিষ্যতের আস্তানা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *