ডেস্ক রিপোর্টার,২৩ মার্চ।।
আগামী ২৫ মার্চের পর প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে।এদিন সারা রাজ্যের হাজার তিনেক নেতা-কর্মী একজোট হবে আগরতলায়। সবাই একসঙ্গে তাদের আগামীদিনে রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ক্যানভাস অঙ্কন করবে।এমন খবর তৃণমূল সূত্রে।
তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দর মহলের খবর অনুযায়ী, আচমকা বঙ্গ নেতৃত্ব হাল ছেড়ে দিয়েছে।রাজ্যে গোটা দল সুবল নির্ভর।আবার অনেকের সঙ্গে সুবল ভৌমিকের নেই বনিবনা।পুরানো তৃণমূলীদের সুবল ভৌমিকের চলছে ঠান্ডা লড়াই। ২৩-র লক্ষ্যে এখন পর্যন্ত রাজ্য কমিটি ঘোষণা দিতে পারেনি বঙ্গ নেতৃত্ব। বরং সুবল ভৌমিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ইনচার্জ করে দিয়েছে।রাজ্যেই সংগঠন করতে পারছেন না সুবল।শুধু মাত্র আগরতলা কেন্দ্রিক হয়ে আছেন। ২৩-র মহারণে দলের প্রধান মুখ কে হবে? তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিতে পারে নি মমতা-অভিষেক এন্ড কোং।
পুর ও নগর ভোটে মানুষ সন্ত্রাস সহ্য করেও তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছিলো।তারা মাত্র তিন মাসে পেয়েছিল ২৩ শতাংশ ভোট। এরপর দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সফরে এসে বলেছিলেন প্রতি মাসে বঙ্গ নেতৃত্ব আসবেন।করা হবে দলের স্থায়ী বাড়ি।তিনি নিজেও বাড়ি ভাড়া করে ত্রিপুরায় অবস্থান করবেন। লক্ষ্য বিজেপিকে উৎখাত করা। কিন্তু আজ পর্যন্ত কিছুই হয়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সমস্ত বক্তব্য আজ দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে রূপকথার স্বপ্নের মতো।
তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, তারা বিজেপি’র সন্ত্রাসের চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছিলো পুর ও নগর ভোটে।আস্থা রেখেছিলো মমতা-অভিষেকের উপর। কিন্তু সবই জলে গিয়েছে।কয়েকমাস ত্রিপুরার মানুষের আবেগ নিয়ে তারা খেলেছে। বর্তমানে প্রতিদিন পট পরিবর্তন হয়েছে রাজ্য রাজনীতির ক্লাইমেক্সে।কিন্তু তাতে কোনো হেলদোল নেই বঙ্গ নেতৃত্বের।তারা আসছি,দেখছি বলে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের।
স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ২৫মার্চ বঙ্গ নেতৃত্বদের রাজ্যে আসার জন্য।যদি তারা আসেন,তাহলে আলোচনায় বসবেন। আলোচনা ফলপ্রসু হলে হয়তোবা তারা অপেক্ষা করবেন কিছুটা দিন।অন্যথায় সমস্ত নেতা-কর্মী-সমর্থকরা পাড়ি দেবে নতুন রাজনৈতিক ঠিকানায়।তবে এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের নেতা-কর্মীদের মোহ ভঙ্গ হয়ে আসছে বঙ্গ নেতৃত্বের প্রতি।কারণ তাদের কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল নেই। সদ্য সমাপ্ত গোয়ার ভোটে তৃণমূল হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ত্রিপুরা নিয়ে ভাবতেও ভয় পাচ্ছেন মমতা-অভিষেকরা।এমনটাই দাবি করছেন খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা।