*** ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর বিদ্যালয় ও সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির ঘোষণা।

*** এনডিআরএফের অতিরিক্ত ৫টি টিমকে রাজ্যে আনা হবে।

***  এনডিআরএফ’র টিমগুলিকে কুমারঘাট,    তেলিয়ামুড়া, আগরতলা, উদয়পুর এবং শান্তিবাজারে মোতায়েন করা হবে।

*** ত্রাণ শিবিরগুলিকে চিহ্নিত করে খাদ্যসামগ্রী আগাম মজুত রাখার নির্দেশ।

*** উদ্ধারকারী দলকে  নৌকা, লাইফ জ্যাকেট সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ।

*** বাতিল করা হলো  দীপাবলি মেলা উপলক্ষে  বিশেষ ট্রেন।

*** সারা রাজ্যেই যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ।

*** জেনারেটর এবং পাম্পসমূহ যথারীতি সচল রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
          বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ক্রমশ রাজ্যের দিকে এগিয়ে আসার কারণে উদ্ভুত ভারী বর্ষণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার প্রস্তুত। সতর্কতামূলক সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জনগণকেও সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় মহাকরণে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ঘূর্ণিঝড় ও ভারী বর্ষণের মোকাবিলায় সরকারের গৃহিত বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে একথা জানান।


সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন,  মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহার পৌরহিত্যে সচিবালয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আবহাওয়ার পূর্বাভাষ সংক্রান্ত সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং সম্ভাব্য মোকাবিলায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।


তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্ৰী জানান, মাতাবাড়িতে দীপাবলি মেলায় প্রচুর পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে যথাসম্ভব ভীড় এড়ানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকারের বিশেষ নজর রয়েছে মাতাবাড়ি দীপাবলি মেলার উপর। সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকটি দপ্তর সহ সিআরপিএফ, আসাম রাইফেলস, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ সহ জেলা প্রশাসনকে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে।


সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব দপ্তরের প্রধান সচিব পুনিত আগরওয়াল যেসমস্ত পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলি সাংবাদিকদের জানান।তিনি বলেন, ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর বিদ্যালয় ও সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সমস্ত সরকারি কর্মচারিদের সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সমস্ত জেলাশাসকদের গত ২১ অক্টোবর থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।
        


এনডিআরএফের অতিরিক্ত ৫টি টিমকে রাজ্যে আসার জন্য বলা হয়েছে। এনডিআরএফ’র টিমগুলিকে কুমারঘাট, তেলিয়ামুড়া, আগরতলা, উদয়পুর এবং শান্তিবাজারে মোতায়েন করা হবে। ত্রাণ শিবিরগুলিকে চিহ্নিত করে খাদ্যসামগ্রী আগাম মজুত রাখা হবে। জনগণকে সচেতন করার জন্য মাইকযোগে প্রচার করতে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকদের বলা হয়েছে।


সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরকে তাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন নৌকা, লাইফ জ্যাকেট সহ উদ্ধারকারী দলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। প্রধানসচিব শ্রী আগরওয়াল জানান, দীপাবলি মেলা উপলক্ষে যে বিশেষ ট্রেন চলাচল করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল তা ভীড় এড়ানোর জন্য বাতিল করা হয়েছে।


অন্যান্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে সারা রাজ্যেই যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। জেনারেটর এবং পাম্পসমূহ যথারীতি সচল রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে বলে প্রধানসচিব শ্রী আগরওয়াল জানিয়েছেন।


সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী, রাজস্ব দপ্তরের স্টেট প্রজেক্ট অফিসার শরৎ দাস এবং আই এম ডি’র রাজ্যের অধিকর্তা এন কুলকার্নি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *