ডেস্ক রিপোর্টার,২৫ ডিসেম্বর।।
আগামী ২রা জানুয়ারি রাজ্যে আসছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন সকালে অভিষেক আগরতলায় এসে প্রথমে স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে করবেন বৈঠক।এরপর তিনি বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও করবেন বৈঠক।এমন খবর তৃণমূল সূত্রে।
প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দর মহলের খবর অনুযায়ী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সফরে এসে ঘোষণা করতে পারেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের প্রদেশ কমিটি এবং মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটি।এই কমিটিতে কারা স্থান পাচ্ছেন? দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন।
প্রদেশ তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটি থেকে এবার অব্যাহতি দেওয়া হবে বাপটু চক্রবর্তীকে।তাকে নেওয়া হবে প্রদেশ কমিটিতে।বাপটুর স্থলাভিষিক্ত কে হবেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুব জটিল। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির দৌড়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন।রাকেশ দাস,রাতুল দেব,মৃনাল দেবনাথ,শান্তনু সহ একজন চিকিৎসকের নাম রয়েছে তালিকায়।এখানেও চলছে লবিবাজি।
তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা জানিয়েছেন, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির চেয়ারে বসার জন্য কয়েকদিন আগে কলকাতার ঘাঁটি গেড়েছিলেন রাকেশ দাস,রাতুল দেব।গিয়েছিলেন শান্তনু।তারা প্রত্যেকেই দাবিদার।মৃনাল দেবনাথ আগরতলায় বসে চালিছেন তার নেটওয়ার্ক।আর চিকিৎসকবাবুর নাম জমা পড়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলে ডাক্তার বাবুর ছাড়তে হবে চাকরি।কিন্তু এই মুহূর্তে প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের যে অবস্থা, তাতে চাকরি ছেড়ে ডাক্তার বাবু মমতার দলে যোগ দেবেন কিনা তা নিয়ে সন্দিহান খোদ দলীয় নেতৃত্ব।
প্রদেশ তৃণমূল নেতাদের দাবি, পর্দার আড়ালে আরো কয়েকটি নাম ঘুরাফেরা করছে।দলের থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক এই সমস্ত নাম নিয়েও ভাবনা চিন্তা করছে।একই ভাবে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রীর নামও ঠিক করে রেখেছে দলের কোর কমিটি। সুস্মিতা দেবের সঙ্গে আলোচনা করেই মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নাম স্থির করা হয়েছে বলেই খবর। প্রদেশ নেতৃত্বের বক্তব্য, এই মুহূর্তে ত্রিপুরাতেও তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করেছে।কারণ গোয়াতে তৃণমূল কংগ্রেস ধাক্কা খেয়েছে।রাজ্যেও সাংগঠনিক অবস্থা নড়বড়ে।পাহাড়ে নেই কোনো জনভিত্তি। ২৩-র সমীকরণের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ে আছে প্রদ্যুত কিশোরের দিকে।কিন্তু আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রদ্যুত কিশোর কতটা সাফল্য পাবে তা নিয়েও পাহাড়ে তৈরি হয়েছে সন্দেহের আবহ।