
ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
এডিসির এমডিসি হংসকুমার ত্রিপুরার বিরুদ্ধে উঠেছে নারী নির্যাতনের অভিযোগ। খোদ এমডিসির স্ত্রী রঞ্জিতা ত্রিপুরা স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি সরাসরি অভিযোগ জানিয়েছেন এডিসির সিইএম পূর্ন চন্দ্র জমাতিয়ার কাছে। এর আগে তিপ্রামথার প্রথম সারির সমস্ত নেতাকে রঞ্জিতা বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয় নি। হংস কুমার ত্রিপুরা এখন পরকীয়া প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। তাই স্ত্রীকে নিয়মিত করছেন শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার।

রঞ্জিতা ত্রিপুরা জানিয়েছেন বিয়ের পর থেকে হংস কুমার ত্রিপুরার সঙ্গে তার সংসারে কোনো ঝামেলায় ছিল না। তাদের চার সন্তান – সন্তি। এরা পড়াশুনার সূত্রে থাকে বাইরে। কিন্তু বিগত বছর খানেক ধরে হংস কুমার ত্রিপুরা পর নারীতে আসক্ত হন। ধীরে ধীরে স্ত্রীর সঙ্গে বাড়তে থাকে তার দূরত্ব। শুরু হয় স্ত্রী রঞ্জিতার উপর স্টিম রোল। দীর্ঘ দিন রঞ্জিতা বিষয়টি চেপে রেখেছিলেন সামাজিকতার কারণে।কিন্তু এখন রঞ্জিতার ধর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গিয়েছে। তিনি ধীরে ধীরে মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

রঞ্জিতা ত্রিপুরা প্রথমে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়ে ছিলেন ত্রিপুরী সম্প্রদায়ের সমাজপতিকে। তিনি প্রাথমিক ভাবে চেষ্টা করেছেন সমস্যার সমাধান করতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমাজপতি হাল ছেড়ে দিয়েছেন।

তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, হংস ও রঞ্জিতার সমস্যার সমাধান করা তার পক্ষে অসম্ভব। এরপর রঞ্জিতা বাধ্য হয়ে তিপ্রামথার প্রথম সারির সব নেতাকে বিষয়টি জানিয়েছে। প্রদ্যুৎ থেকে অনিমেষ। বিজয় রাঙ্খল থেকে জগদীশ দেববর্মা সবার কাছে গিয়েছেন রঞ্জিতা।

কিন্তু কোথায়ও সমস্যার সমাধান পান নি। কেউ এই বিষয়ে হংসকে কোনো কথাই জিজ্ঞাসা করেন নি।স্বাভাবিক ভাবেই শেষ পর্যন্ত রঞ্জিতা এডিসির মুখ্য কার্য নির্বাহী সদস্য পূর্ণ চন্দ্র জমাতিয়ার দ্বারস্থ হয়েছেন হংস কুমারের স্ত্রী রঞ্জিতা। তবে এখন পর্যন্ত পূর্ন চন্দ্র জমাতিয়ার কাছ থেকেও তিনি কোনো ধরনের সদুত্তর পান নি।