
ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল আগরতলা-সাব্রুম গামী ট্রেন।ঘটনা বিশালগড় হরিশ নগর চা বাগান সংলগ্ন এলাকায়। রেল ট্র্যাকে টলিতে রাখা ছিলো পাথর।রেল কর্মীদের দায়িত্ত্বজ্ঞান
হীনতার জন্য এই ঘটনা।জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ রেল যাত্রীরা।

শনিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ১৯৮৭৬১ নম্বরের যাত্রীবাহী ট্রেন আগরতলা থেকে সাব্রুমের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ট্রেনটি সেকেরকোট – বিশালগড়ের মাঝামাঝি জায়গা হরিশ নগর চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় আসতেই দ্রুতগামী ট্রেনটি একটি বড় ঝাকুনি দিয়ে দাড়িয়ে যায়। এবং একটি বিকট শব্দ হয়। তখন আতকে উঠে ট্রেনে থাকা কয়েশ যাত্রী।

সঙ্গে সঙ্গে টেকনিক্যাল স্টাফ সহ যাত্রীরা নেমে যায় দূর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেন থেকে নেমে যায়। দেখা যায় ট্রেনের ট্র্যাকের মধ্যে একটি টলিতে পাথর রাখা ছিল। ট্রেনের সঙ্গে পাথরের টলির ধাক্কা লাগে। তাতেই তৈরি হয়েছিল বিপদের ঝুঁকি। জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। দুর্ঘটনার পর এই রুটে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কিত দুর পাল্লার যাত্রীরা সড়ক পথ ধরে চলে যায় তাদের গন্তব্য স্থানে।

দূর্ঘটনাগ্রস্থ যাত্রীবাহী ট্রেনের ট্যাকনিকাল স্টাফ নিয়েই মোবাইলে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলছেন, ট্র্যাকে থাকা পাথরের সঙ্গে ঘর্ষণ হয়েছে ঢাকার। তাই ট্রেন থেমে যায়। পাথর না সরানো পর্যন্ত ট্রেন চালু করা যাবে না।
প্রশ্ন উঠছে রেল কর্মীদের দায়িত্ত্ব জ্ঞান হীনতা নিয়ে। কারণ রেল চলাচলের আগে ট্র্যাক ভাল করে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। রেল ট্র্যাকে কিছু আছে কিনা। তার জন্য আলাদা ভাবে রেল কর্মী নিয়োগ করে।

কিন্তু অবাক করার মত বিষয় রেল আগরতলা থেকে ছেড়ে দিয়েছে। এই তথ্য জানার পরও রেল লাইনে পাথরে টলি কিভাবে আসলো? কারা রাখলো?তাদের উদ্দেশ্যই বা কি ছিলো? এই বিষয় গুলি অবশ্যই খতিয়ে দেখবে ভারতীয় রেল।
অবশেষে প্রায় তিন ঘন্টা কুড়ি মিনিট পর আগরতলা-সাব্রুমগামী ট্রেনটি সারাই করে। এবং পরিষ্কার করা হয় রাস্তা। এরপরই সাব্রুমের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।