ডেস্ক রিপোর্টার, ২রা নভেম্বর।।
সোনামুড়া বিজেপিতে কংগ্রেস সংস্কৃতির আমদানি করলেন সদ্য কংগ্রেস ত্যাগী নেতা বিল্লাল মিয়া। অভিযোগ তার নেতৃত্বেই রাতের অন্ধকারে মারধর করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন স্বনাম ধন্য ফুটবলার গোলাম মুস্তাফাকে।গোলাম বিজেপির দুর্দিনের কর্মী।মারাত্বক ভাবে জখম হওয়া মুস্তাফা এখন জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোলামের উপর আক্রমণের ঘটনায় পুলিশ এখনো গ্রেফতার করেনি দুষ্কৃতীদের। এই বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায় নি সোনামুড়া বিজেপি নেতৃত্বের।
প্রাক্তন ফুটবলার গোলাম মোস্তফা নিজের জিবি হাসপাতালের ব্যাডে শুয়ে জানিয়েছেন, “বিল্লাল মিয়ার নেতৃত্বে নব্য বিজেপির দুষ্কৃতীরা তাকে রক্তাক্ত করেছে।ঘটনার সময় সামনে দাড়িয়ে থাকেন কংগ্রেস জোট জামানার প্রাক্তন মন্ত্রী বিল্লাল মিয়া। তার নেতৃত্বেই চলে অতর্কিত হামলা”।
সোমবার রাতে নিজের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে সোনামুড়া দৈনিক বাজারে দুষ্কৃতীরা গোলামের উপর হামলা করে। ভর বাজারে মাটিতে ফেলে তাকে মারধর করা হয়।তখন সামনেই ছিলেন বিল্লাল মিয়া।বাজারে ছিলো প্রচুর লোকজন।দুষ্কৃতীরা সবাই বিল্লালের অনুগামী। এরা সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনের প্রাক লগ্নে কংগ্রেস ছেড়ে বিল্লালের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল।বিজেপিতে যোগ দিয়েই ৮৮- র কায়দায় সোনামুড়াতে সন্ত্রাস শুরু করে। বিজেপির প্রাক্তন কর্মীদের বক্তব্য, বিল্লাল মিয়া উপ ভোটে কংগ্রেস থেকে টিকিট না পেয়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। এখন সে শাসক দলের লোকজন। বিল্লাল মিয়ার মতো হায়নারা শাসক দলে থাকলে,তারা কতটা ভয়ানক হতে পারে,তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত “গোলাম মোস্তফা উপর আক্রমণের ঘটনা” !
বিজেপির স্থানীয় কর্মীদের কথায়, বিল্লাল কংগ্রেসকে নিংড়ে দিয়ে শেষ করে এসেছেন। দুই দুইবার তিনি কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তার কোনো জন ভিত্তি নেই। তাই এখন জোট জামানার মতো সন্ত্রাস করে নিজের হারানো বাণিজ্যিক জমি ফিরে পেতে চাইছেন। এই কারণেই বিজেপির পুরানো কর্মীদের ঠ্যাঙানোর জন্য মাঠে নেমেছেন। তবে বিল্লাল মিয়ার এই আচরণ ভালো চোখে নেয় নি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। যদিও তারা বিল্লাল মিয়াকে মুখে কিছুই বলেন নি। যত দূর প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিল্লাল মিয়াকে শোকজ করতে পারে।
