ডেস্ক রিপোর্টার, ৬ডিসেম্বর।।
          কল্যাণপুরের হাজারী বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়া স্বামী –  স্ত্রীর মধ্যে স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতার নাম জেসমিন দেববর্মা। বুধবার সকালে মাটির নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো খোঁজ পাওয়া যায় নি মৃতার স্বামী মিন্টু দেববর্মা। মঙ্গলবার রাতে মিন্টু ও তার স্ত্রী জেসমিন নিখোঁজ হওয়ার প্রেক্ষিতে কল্যাণপুর থানায় মামলা দায়ের করেছিলো পরিবারের লোকজন।


কল্যাণ পুর হাজারী বাড়ির বাসিন্দা মিন্টু দেববর্মা। তার স্ত্রী জেসমিন দেববর্মা। তাদের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে চলছিলো পারিবারিক ঝামেলা।মঙ্গল বার দুপুরে স্ত্রী  ও দুই সন্তানকে নিয়ে স্কুটারে করে বাড়ি থেকে বের হয় মিন্টু। তার দুই সন্তানকে মিন্টু তার মা – বাবার বাড়িতে রেখে স্ত্রী জেসমিনকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। কিন্তু অধিক রাতেও মিন্টু তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে নি। স্বাভাবিক ভাবেই পরিবারের লোকজন রাতেই কল্যাণপুর থানায় মিসিং ডায়েরি করে।


বুধবার সকাল থেকে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন মিন্টুর বাড়ির আশপাশের জঙ্গলে খোঁজা খুঁজি করতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় মিন্টু দেববর্মার স্ত্রী জেসমিনের মৃতদেহ।লাশটিকে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। প্রমান লোপাটের জন্য তার উপড় ফেলে দেওয়া হয়েছিল গাছ – গাছালি। তল্লাশিতে নেমে পুলিশ নিশ্চিত হয় জেসমিনের স্বামী মিন্টুই তাকে খুন করেছে। জানিয়েছেন, তেলিয়ামুড়ার এসডিপিও প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা।


তদন্তকারী পুলিশ ঘটনাস্থলে জরুরী তলবে নিয়ে এসে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ টিমকে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠিয়ে দেয় হাসপাতাল মর্গে।
পরবর্তী সময়ে ময়না তদন্তের পর হাসপাতাল কর্তপক্ষ জেসমিনের মৃতদেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়। এসডিপিও প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা জানিয়েছেন, জেসমিনের স্বামী মিন্টু এখন পালিয়ে গিয়েছে।জেসমিনের মাথায় আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ধারলো অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়েছে।পুলিশ জেসমিনের অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতারের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে।বিস্তার করেছে জাল। কিন্তু এখনো মিন্টু পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *