ডেস্ক রিপোর্টার, ৫মার্চ।।
                    রাজনীতি মানেই বিনা পয়সায় রুজি। পুঁজি বলতে তাদের মুখ ও বুদ্ধি। এটা অবশ্যই জনতা জনার্ধন বুঝতে পারেন না। বা বুঝলেও কিছু বলার মতো বাক শক্তি নেই। তাই জনতার মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে নিজের কার্য সিদ্ধি করাতে পারেন হালের নেতা-মন্ত্রীরা। এটাই রাজনীতির উত্তম”ফর্মূলা”।
রাজনীতির এই ফর্মূলাকে কাজে লাগিয়ে মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার এক বছর পূরণ হওয়ার আগেই  বিলাস বহুল ফ্ল্যাট ক্রয় করলেন রাজ্যের এক মন্ত্রী বাহাদুর। তাও আবার দেশের রাজধানী দিল্লিতে। রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্দর মহল থেকেই ভেসে এসেছে এই গুঞ্জন। ধীরে ধীরে এর প্রাবল্য আরোও তীব্র হচ্ছে।প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্বও নাকি ওয়াকিবহাল মন্ত্রীর ফ্ল্যাট ক্রয় সম্পর্কে।
           রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বের কথায়, রাজ্য।মন্ত্রিসভার এই সদস্য প্রথম বার মন্ত্রীর চেয়ার পেয়েছেন। আর তাতেই কেল্লা ফতে। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সংসার করে এসেছিলেন বিজেপিতে। আর তাতেই পাল্টে গিয়েছে মন্ত্রীর ভাগ্য।২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে তিনি প্রথম বার তিনি টিকিট পেয়েছিলেন। নির্বাচনে হয়েছিলেন জয়ী। বিধায়ক থেকে একেবারে মন্ত্রীর মকমলের চেয়ারে। এখনোও মন্ত্রিত্বের এক বছর পূরণ হয় নি। তার আগেই তিনি চমক সৃষ্টি করে দিল্লির দোয়ারকার মহাবীর কনক্লেভে বিলাস বহুল ফ্ল্যাট ক্রয় করলেন। কিভাবে সম্ভব হলো?


দিল্লির ত্রিপুরা ভবন সূত্রের খবর, এই মন্ত্রী বাহাদুর এখন দিল্লি সফরে গেলে ত্রিপুরা ভবনে উঠেন না।তিনি থাকেন মহাবীর কনক্লেভে নিজের ক্রয় করা বিলাস বহুল ফ্ল্যাটে। অতি সম্প্রতি মন্ত্রী হিন্দু শাস্ত্র মতে তাঁর প্রয়াত বাবার পিণ্ড দানের কাজ সম্পন্ন করেছিলেন। এই আচার অনুষ্ঠানের জন্য গয়াতে রওনা হওয়ার আগে রাত নিজের স্বপ্নের নীড়ে কাটিয়েছিলেন। এবং ফ্ল্যাট থেকে রওয়ানা হয়েছিলেন গয়ার উদ্দেশ্যে। সদ্য তিপ্রামথার সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ের আগের রাতে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন মন্ত্রী। তখনও ত্রিপুরা ভবনে না থেকে অবস্থান করেছিলেন নিজের ফ্ল্যাটেই।


বিজেপির লোকজনের কথায়, গত কয়েকমাস আগে মন্ত্রী তার স্ত্রী’র নামে মারুতি সুজুকি কোম্পানির নেক্সা (NEXA) গাড়ি ক্রয় করেন। মন্ত্রীর স্ত্রী’র উপস্থিতিতেই এই বিলাস বহুল গাড়িটি আগরতলা শো – রুম থেকে ক্রয় করা হয়েছিল।শো – রুমে উপস্থিত হয়ে মন্ত্রীর সহধর্মিনী ক্রয় করা নতুন নেক্সা গাড়ির সঙ্গে সেলফিও তুলেন। তাতে অবশ্যই কাউর কোনও আপত্তি নেই। প্রশ্ন হলো, এতো টাকার উৎস কোথায়?
               রাজ্য বিধানসভার তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের মন্ত্রীদের মাসিক বেতন ৫১, ৭৮০টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর বেতন ৫৩,৬৩০ টাকা। জনমনে প্রশ্ন, ৫১ হাজারী একজন মন্ত্রী কিভাবে দিল্লিতে ফ্ল্যাট ক্রয় সহ দামী লাক্সারি গাড়ি ক্রয় করেছেন? এই প্রশ্নের উত্তর আপাতত তোলা থাক কুলুঙ্গিতে। অথচ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা দুর্নীতি মুক্ত ভারত ও ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্ন দেখছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *