ডেস্ক রিপোর্টার,১৯ মার্চ।।
       ভোটের মুখে বিপ্লব  দেবের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র রচনা।তাও আবার স্ব – দলীয় নেতারা।নেতাদের অস্কারাতেই তালিকাভুক্ত সমাজদ্রোহী হাজির বিপ্লবের মঞ্চে।বিপ্লব দেবের হাতে তুলে দিলো মমেন্টো।বিপ্লব দেবের সঙ্গে সমাজদ্রোহীর এই
ছবি ভাইরাল করা হচ্ছে পরিকল্পিত ভাবেই।
সমাজদ্রোহীর সঙ্গে বিপ্লবের ছবিকে ভয়ানক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে বামগ্রেস।
       বিপ্লব কুমার দেব। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।তিনি রাজ্য সভার সাংসদ।বর্তমানে তিনি রাজ্যের লোকসভার পশ্চিম আসনের বিজেপির প্রার্থী। নির্বাচনী প্রচারে ঢেউ তুলছেন বিপ্লব কুমার দেব। প্রচারে তিনি টেক্কা দিচ্ছেন ইণ্ডিয়া জোটের প্রার্থী তথা কংগ্রেস প্রার্থী আশীষ কুমার সাহাকে।বিপ্লব কুমার দেবকে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের প্রার্থী ঘোষণার পর পরই স্ব – দলীয় একটি গ্রুপ বিপ্লব কুমার দেবের বিরোধিতায় সরব হয়েছে।তবে প্রকাশ্যে নয়, গকুলেই তারা বিপ্লবের ইমেজে কালো দাগ লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে।তার প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে হাতে নাতে।সরাসরি এই অভিযোগ করছেন, বিপ্লব অনুগামীরা।


প্রতিবেদনের সঙ্গে সেটে দেওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে মঞ্চে বিপ্লব কুমার দেবের হাতে মমেন্টো তুলে দিচ্ছে এক যুবক। তার পরিচয় কি? কি তার পেশা? কিভাবে বিপ্লব দেবের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙ্গে এই যুবক মঞ্চে উঠে গেলো?
যুবকটির নাম রাজু বর্মন। এই ছবিটি গত ১৭ মার্চ – র। বড়জলা মণ্ডলের উদ্যোগে আয়োজিত বিজেপির জনসভায়। তাতে অবশ্যই কোনো আপত্তি নেই। প্রার্থীর হাতে যে কেউ মঞ্চে উঠে মোমেন্টো তুলে দিতেই পারে। কিন্তু  প্রার্থীর হাতে মমেন্টো তুলে দেওয়া ব্যক্তিটি যদি রাজ্য পুলিশের তালিকাভূক্ত অপরাধী হয়?  এলিট ক্লাসের নেশা কারবারী, নিগোসিয়েশনকারী, ঠিকাদার অপহরনকারী, অস্ত্র কারবারীর তকমা যদি তার বিরুদ্ধে থাকে পুলিশের খাতায়? তাহলে তাকে প্রার্থীর কাছে পাঠানো মানেই, জেনে বুঝে প্রার্থীকে কালিমা লিপ্ত করা।প্রার্থীর ইমেজে ধাক্কা দেওয়া। এনিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক।


১৭ মার্চ বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রের নতুন নগর রানীর মাঠে বিজেপির পৃষ্ঠা প্রমুখ ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন লোকসভা পশ্চিম আসনের বিজেপির প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব। হঠাৎ বিপ্লব কুমার দেবের মঞ্চে হাজির হয়ে যায়, ঊষা বাজার অঞ্চলের দাগি অপরাধী রাজু বর্মন। রাজু বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তার উঠা বসা রাজ্যের অপরাধ জগতের টাইকুন সমাজদ্রোহী অমিত ঘোষের সঙ্গে।রাজু এখনো সিপিডাব্লিউডি’র নিগোসিয়েশন কারবারের মাষ্টার মাইন্ড । নতুন নগর দাবাতে গুলিকাণ্ড ঘটেছিল রাজুর অঙ্গুলির নির্দেশে।ঠিকাদার ঝুনঝুনওয়ালা অপহরণের পিন কিং ছিলো রাজু।

রাজধানীর অপরাধের টাইকুন অমিত ঘোষের সঙ্গে রাজু।

২৩- র বিধানসভা  নির্বাচনের কয়েকদিন আগেও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মজুতের অভিযোগ উঠেছিলো। পুলিশ তার তৎকালীন সঙ্গী বিমান দাসকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করেছিলো।কিন্তু পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল রাজু। সমাজদ্রোহী রাজু বর্মনের দুই ভাই রাকেশ বর্মন ও দেবু বর্মন এলাকা ছাড়া।তাদের বিরুদ্ধে মহিলাকে ধর্ষণ ও অস্ত্র মামলার অভিযোগ রয়েছে।সম্প্রতি রাজু বর্মনকে ভারত রত্ন সংঘ থেকেও তাড়িয়ে দিয়েছে এলাকার লোকজন। তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্লাব সম্পাদকের চেয়ার থেকে। তারপরও এমন একজন দাগী অপরাধী কিভাবে বিজেপির প্রার্থী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে উঠে উপহার দেওয়ার নাম করে গকুলেই  সেরে নিলো ফটো সেশন?
      

।দুধওয়ালা রতন ঘোষ।

বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য, এটা বিপ্লব কুমার দেবের বিরুদ্ধে একটা গভীর ষড়যন্ত্র। তার পেছনে রয়েছে বিপ্লবের স্ব – দলীয় প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর নেতারা। তার প্রথম নাম রতন ঘোষ।তিনি বর্তমানে গোমতী ডায়েরির চেয়ারম্যান। বিপ্লব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রতন কোনো দিন সেই সুযোগ পান নি।
দুধওয়ালা রতন ঘোষ কার জামানায় চেয়ারম্যান হয়েছেন? এটা সবাই জানেন। দ্বিতীয় নাম রাজীব সাহা। সে বড়জলা মণ্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি। তাদের উপস্থিতিতে কিভাবে সমাজদ্রোহী রাজু বর্মন মঞ্চে বিপ্লব কুমার দেবকে মেমেন্টো প্রদান করেছে? যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি রাজীব সাহা নিজেই বিপ্লবের মঞ্চে নিয়ে এসেছে দাগি অপরাধী রাজু বর্মনকে।

বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য, এটা বিপ্লব কুমার দেবের বিরুদ্ধে একটা গভীর ষড়যন্ত্র। তার পেছনে রয়েছে বিপ্লবের স্ব – দলীয় প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর নেতারা। তার প্রথম নাম রতন ঘোষ।তিনি বর্তমানে গোমতী ডায়েরির চেয়ারম্যান। বিপ্লব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রতন কোনো দিন সেই সুযোগ পান নি।
দুধওয়ালা রতন ঘোষ কার জামানায় চেয়ারম্যান হয়েছেন? এটা সবাই জানেন। দ্বিতীয় নাম রাজীব সাহা। সে বড়জলা মণ্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি। তাদের উপস্থিতিতে কিভাবে সমাজদ্রোহী রাজু বর্মন মঞ্চে বিপ্লব কুমার দেবকে মেমেন্টো প্রদান করেছে? যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি রাজীব সাহা নিজেই বিপ্লবের মঞ্চে নিয়ে এসেছে দাগি অপরাধী রাজু বর্মনকে।অতি সম্প্রতি ঊষা বাজারে নেশা বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই  মিছিলে নেশা কারবারী তথা সমাজদ্রোহী রাজু বর্মনকে  রাজপথে নিরাপত্তা দিয়ে আগলে রেখেছিলেন বিজেপি নেতা দুধ ওয়ালা রতন ঘোষ ও যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি রাজীব সাহা। প্রতিবেদনে সেটে দেওয়া হলো এই ছবিও।


শুধু কি তাই সমাজদ্রোহী রাজু বর্মন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য- র সঙ্গে ছবি তুলে নিজের মার্কেটিং শুরু করে দিয়েছে। বিপ্লব, রাজীবদের সঙ্গে ছবি তুলে,সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে রাজু বর্মন বোঝানোর চেষ্টা করছে, তার ক্ষমতার গভীরতা। অর্থাৎ তার পাশেই আছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাকে পুলিশ প্রশাসন কিছুই করতে পারবে না।

বিজেপির প্রদেশ সভাপতির সঙ্গে রাজুর ফটো সেশন।

কিন্তু রাজু যে এখন একা ঊষা বাজারে প্রবেশ করতে পারছে না। স্থানীয় লোকজন তাকে এলাকা ছাড়ার বার্তা দিয়েছে। হাত থেকে খসে গিয়েছে ভারত রত্ন সংঘ ক্লাবের ক্ষমতাও। নিঃস্ব রাজু কাছে এখন নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে বাজার ধরে রাখার মূল লক্ষ্য। এই ক্ষেত্রে রাজুকে অর্থের বিনিময়ে পেছন থেকে মদত দিচ্ছেন বিজেপি নেতা, দুধ ওয়ালা রতন ঘোষ ও যুব নেতা রাজীব সাহা। এই সুযোগের সদ ব্যবহার করে রাজু বোকা বানিয়ে দিচ্ছে রাজনৈতিক নেতাদের। বিপ্লব – রাজীবদের অজ্ঞাত সারে রাজু তাদেরকে ব্যবহার করছে মসৃণ ভাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *