ডেস্ক রিপোর্টার,৫সেপ্টেম্বর।।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব “নতুন ত্রিপুরা” গড়ার স্বপ্ন ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের পথে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে বিভিন্ন অংশের মানুষ। মুখ্যমন্ত্রীর নেওয়া এই সমস্ত পদক্ষেপের সফলতা পাওয়া যাবে ২০২৩-র বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে।বলছেন রাজনীতিকরা।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সমালোচকরা নানান কথা বললেও “নতুন ত্রিপুরা” গড়ার ক্ষেত্রে অবিচল তিনি।রাজ্যের সরকারী দপ্তরগুলিতে ছিলো না কোনো কর্ম সংস্কৃতি।দীর্ঘ বাম জামানার ২৫ বছরে সরকারী দপ্তর গুলি ছিলো ক্যাডারদের দখলে। কাজের পরিবর্তে সরকারী দপ্তরে চলতো রাজনীতি।২০১৮-তে বিজেপি সরকার গঠনের পর সরকারী দপ্তরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ছিলো মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটা চ্যালেঞ্জ।সর্ব প্রথম।মুখ্যমন্ত্রী সরকারী দপ্তরে ফিরিয়ে আনেন কর্ম সংস্কৃতি। কারণ মুখ্যমন্ত্রী অনুধাবন করেছিলেন, রাজ্যের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্য সর্ব প্রথম সরকারী দপ্তরে কর্ম সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনা দরকার।
সরকারী ক্ষেত্রে চাকরিতে যোগ্যতাই মাপ কাঠি।তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সরকারী দপ্তরে চাকরির জন্য পরীক্ষা পদ্ধতি শুরু করেন।এরফলে যোগ্য ব্যক্তিরাই চাকরি পাচ্ছেন।তাতে আক্ষরিক অর্থে লাভবান হয়েছে রাজ্য।বিভিন্ন দপ্তরে বেড়েছে কাজের গতি। বিজেপি সরকার গঠনের পর সারা রাজ্য জুড়ে মুখ্যমন্ত্রী নেশা বিরোধী অভিযানে জোর দিয়েছিলেন।একের পর এক এলিট ক্লাসের মাদক কারবারীদের জালে তুলেছিল পুলিশ।শুধু তাই নয়, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শতাধিক পুলিশ কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিলো।এর আগে রাজ্যে কখনো এমন রেকর্ড নেই।
রাজ্য প্রশাসনের কাজকর্মকে গতিশীল করতে মুখ্যমন্ত্রী পৃথক ভাবে আইএএস, টিপিএস ও টিসিএস অফিসারদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বৈঠক করেছেন।কাজ করার সময় অফিসারদের কোনো সমস্যা হয় কিনা তাও তিনি জানতে চেয়েছেন। আমলাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরণের বৈঠক প্রশাসনকে অনেক বেশি গতিশীল করেছে বলে মনে করছেন আমলারা।
সরকার চালানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন দলের সংগঠনকে।বিভিন্ন বুথ থেকে শুরু করে জেলা ও মন্ডল স্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে করেছেন ধারাবাহিক বৈঠক। দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এধরণের বৈঠক ওষুধের মত কাজ দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তার রাজনৈতিক সমাবেশ শুরু করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই সমাবেশ রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলের জন্য একটি বড় ধাক্কা।কারণ প্রতিটি জনসভাতে সিপিআইএম, কংগ্রেস সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে বড় অংশের নেতা,কর্মী-সমর্থকরা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর, তিনি সাব্রুমে সভা করেছিলেন। এই সভায় ৩,৬৫১জন ভোটার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। এরফলে দক্ষিণ জেলায় বড় আঘাত লাগে বাম শিবিরে।
একইভাবে রাজনগরে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২০০০-র অধিক ভোটার যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। একে একে কমলা সাগর,
কৈলাশহর, ফটিকরায়, বড়জলা কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী শিবির থেকে ভোটার ছিনিয়ে এনেছিলেন। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে মুখ্যমন্ত্রীর কারণে ১০হাজার ভোটার অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে এসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বিভিন্ন নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল টেক্কা দিতে পারবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

One thought on “নতুন ত্রিপুরা”র উন্নয়নের যজ্ঞে<br>অবিচল মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *