ডেস্ক রিপোর্টার, ৩রা এপ্রিল।।
                   রাজ্য জুড়ে শাসক – বিরোধির নির্বাচনী প্রচারের রমরমা। গোটা রাজ্যেই ভোটের আবহ। প্রচারে শাসক – একে অপরকে টেক্কা দিতে চাইছে।শুরু হয়েছে নেতাদের বাক যুদ্ধ। তার মধ্যে অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিলেন বিজেপির পূর্ব আসনের প্রার্থী কৃতি সিং। মঞ্চে থাকলেও অন্যান্য নেতাদের ভিড়ের মধ্যে তাকে খোঁজে পাওয়া ছিল কষ্টকর। শেষ পর্যন্ত তিনিও বেরিয়ে এলেন খোলস ছেড়ে। করবুকে নির্বাচনী প্রচারে ভাই প্রদ্যুৎ কিশোরের কায়দাতেই রাখলেন বক্তব্য।কাটালেন গলার আড়ষ্ঠ ভাবও।
           সম্প্রতি করবুকে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে মঞ্চে বসিয়েই বলেন, জনজাতিদের জল সহ রাস্তা ঘাটের সমস্যার কথা।হঠাৎ তিনি ভোল পাল্টে ফেলেন।এবং বলেন এখন জনজাতিদের কোনো সমস্যা নেই। মাত্র চার মাসের মধ্যেই নাকি করবুক অঞ্চলের জনজাতিদের সমস্যা নিরসন হয়ে গিয়েছে। কৃতি সিংয়ের এই মন্তব্যে অনেকেই চমকে উঠেছেন।


কৃতি সিং জনজাতিদের উদ্দেশ্যে বলেন, “বড় কাজে সফলতা পেতে হলে ধর্য্য ধরতে হয়।নয়তো সফলতা পাওয়া কষ্টকর।” কৃতি সিং তার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কিসের ইঙ্গিত করলেন? তাহলে কি রাজ্যের জনজাতিদের জন্য আরো বড় কিছু অপেক্ষা করছে।নাকি ভোট বাজার ধরে রাখতে প্রদ্যুৎ তার দিদিকে দিয়ে পুনরায় জনজাতিদের বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন? এই সমস্ত প্রশ্ন এখন উকি দিচ্ছে জনমনে।
           কৃতি সিং তার বক্তব্যের সঙ্গে যোগ করেন,” সফর কা ফল মিঠা হোতা হে”। তার মানে আগামী দিনে জনজাতিরা আরো বড় সুবিধা পাবেন। কৃতি সিংয়ের এই বক্তব্য নিয়ে খটকা লেগেছে খোদ জনজাতিদের মধ্যে। এখন পর্যন্ত তার ভাই প্রদ্যুৎ কিশোরের গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড হাওয়া। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাদের ত্রিপাক্ষিক চুক্তি নিয়েও ধোঁয়াশা। জনজাতিদের দেওয়া প্রদ্যুতের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি এখন হিমঘরে। কোনোটাই আপাতত বাস্তবায়িত হয় নি। তার মধ্যে বিজেপির সঙ্গে রফা করে বোনকে পাইয়ে দিয়েছেন পূর্ব আসনের টিকিট।বাস্তব অর্থে জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ এখন প্রদ্যুতের ব্ল্যাক ম্যাজিক আর বিশ্বাস করতে পারছে না। এটা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন প্রদ্যুৎ নিজেও।তাই এখন বিজেপির প্রার্থী দিদি কৃতিকে দিয়ে জনজাতিদের মন পাইতে চাইছেন প্রদ্যুৎ । তাই বিজেপির সঙ্গে জোট হয়ে নিজের দলের অস্তিত্বকে আরোও সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। এটা করবুকেকে গিয়ে প্রমাণ করলেন কৃতি সিং নিজেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *