ডেস্ক রিপোর্টার, ৩মে।।
      ভারত রত্ন সংঘের সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন দেব হত্যাকান্ডের একদিন পরও পুলিশ মূল কুশীলবদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ। তবে লোক লজ্জা থেকে বাঁচার জন্য রাজধানী পুলিশ প্রদ্যুৎ ধর চৌধুরী নামে ষাট উর্ধ্ব এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তাকে তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে নিয়েছে। কিন্তু বিমান দাস, রাজু বর্মন, রাকেশ বর্মন, দেবব্রত বর্মনরা কোথায়? জানেন না অনুসন্ধানকারী পুলিশ।হাস্যকর! এয়ারপোর্ট থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এখনো ভাগলপুরের দরগা মেলার তোলার টাকা হজম করতে পারেন নি। তার মধ্যেই আবার রাজু – বিমানের টাকার নোটের গন্ধ।স্বাভাবিক ভাবেই ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের নাকে লাগছে না দূর্গা প্রসন্ন’র তাজা রক্তের গন্ধ। বলছেন, ঊষা বাজার অঞ্চলের লোকজন।


দূর্গা প্রসন্ন খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত রাজ্যের অপরাধ জগতের “মিসিং লিংক”  অমিতাভ ঘোষ ওরফে অমিত।  এই মুহূর্তে অমিত ঘোষ সমাজদ্রোহী রাজু বর্মনের উপদেষ্টা। রাজুর আতিথেয়তার অমিত থাকতেন ঊষা বাজারে। অমিত ঘোষ নিজেও দূর্গা প্রসন্নকে ফোন করে বলেছিল, ” ভারত রত্ন সংঘের সম্পাদকের দায়িত্ত্ব ছেড়ে দেওয়ার জন্য”। কিন্তু ভিকি মান্যতা দেয় নি অমিতের কথা। খবর ঊষাবাজার সিপিডব্লিউডি’ র নিগোসিয়েশন কারবারের গর্ভগৃহের।কোথায় রচনা হয়েছে ভিকি হত্যার স্ক্রিপ্ট ?
             ঊষা বাজার অপরাধ জগতে গুঞ্জন, অমিত ঘোষের কলকাতাস্থিত বাগুইহাটি বাড়িতেই দূর্গা প্রসন্ন হত্যা কান্ডের স্ক্রিপ্ট রচনা করা হয়েছে। অপরাধ জগতের দীর্ঘ দিনের পাকা খেলোয়াড় অমিত ঘোষ নিজেই নাকি দূর্গাকে যমদূতের কাছে পাঠানোর স্ক্রিপ্ট লিখে দিয়েছেন। এই স্ক্রিপ্ট অনুপুঙ্খ ভাবে বাস্তবায়িত করেছে বিমান – রাজুরা। সূত্রটির দাবি, দূর্গা প্রসন্ন হত্যার পর পর রাজু – বিমানরাও আস্তানা গেড়েছে অমিত ঘোষের কলকাতাস্থিত ঠেকেই।


গত শনিবারে রাজু বর্মন  গিয়েছিল কলকাতায় অমিত ঘোষের ঠেকে। পরের দিন রাজু – চলে আসে আগরতলায়। তারা আসার সময় অমিত ঘোষের কাছ থেকে দূর্গা প্রসন্নকে যম দোয়ারে পাঠানোর স্ক্রিপ্ট হাতে করে নিয়ে আসে। এবং বিমানকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে অমিতের স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী দূর্গা প্রসন্নকে খালাস করে দেয়।
         এয়ারপোর্ট থানার পুলিশের তদন্ত কি ঊষাবাজার অপরাধ জগতের কম্পাস অনুযায়ী ঘুরবে? নাকি মূল অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য পুলিশ রচনা করবে আরোও এক নতুন স্ক্রিপ্ট? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে খোদ ঊষাবাজার অঞ্চলের জনমনে।

।।হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল।।

এদিকে বুধবার দুপুরে ময়না তদন্তের পর দূর্গা প্রসন্ন দেবের লাশ পুলিশ তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়। ছিনাইহানী শ্মশানে হয় ভারত রত্ন সংঘের ক্লাব সম্পাদকের শেষকৃত্য। দূর্গা প্রসন্নকে শেষবারের মত দেখার জন্য প্রচুর মানুষ জন জড়ো হয়েছিলো শ্মশানে। এখনোও উত্তেজনা বিরাজ করছে গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গোটা এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী।কারণ রাজু গোষ্ঠীর লোকজনকে এলাকায় প্রবেশ করলেই তাদের উপর আছড়ে পড়তে পারে গণরোষ।


ঊষাবাজার সিপিডব্লিউডি নিগোসিয়েশন নিয়ে ” জনতার মশাল” ধারাবাহিক ভাবে খবর সম্প্রচার করেছিল। এবং গ্যাং ওয়ারের রক্ত ঝড়ার আশঙ্কা করা হয়েছিলো প্রতিটি প্রতিবেদনে। ঊষা বাজার অপরাধ জগতে হঠাৎ করে দাগি সমাজদ্রোহী অমিত ঘোষের আগমন সংক্রান্ত খবরও রাজ্যের একমাত্র মিডিয়া হিসাবে “জনতার মশাল” সর্ব প্রথম সামনে নিয়ে এসেছিলো। তারপরও হুশ ফিরে নি রাজ্য পুলিশের তাবড় কর্তাদের। আর এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ তো ছিলো অসহায়।  নিগোসিয়েশিন কারবারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে মন্থ হয়ে বসে থাকতো। আর প্রকারন্তে উৎসাহ দিয়ে থাকতো গ্যাং ওয়ারকে।অন্তত এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের হাব – ভাব এটাই প্রমাণ করে। ছিঃ ছিঃ। ধিক্কার পুলিশ তোমাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *