তেলিয়ামুড়া ডেস্ক,৯ অক্টোবর।।
গাঁজা ছাড়াতে পুলিশকে ঘুষ দিতে এসে
গ্রেপ্তার গাঁজা পাচার চক্রের এক পান্ডা।
তার নাম আশীষ নাগ। বাড়ি রাজধানীর শিবনগরে।ঘটনা মুঙ্গিয়াকামী থানায়,শনিবার বিকালে।তদন্তকারী পুলিশ আশীষ নাগকে রবিবার বিশেষ আদালতে সোপর্দ করবে বলে জানা গেছে।
এদিন সকালে মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশ রুটিন মাফিক জাতীয় সড়কে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। এই সময় পুলিশ গাঁজা বোঝাই একটি গাড়ি আটক করে।গ্রেফতার করে গাড়ি থাকা তিন মাদক কারবারীকে।গাড়ি থেকে পুলিশ মোট ১৩০কেজি গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিল। তল্লাশির সময় গাড়ির চালক রুপম চাকমার মোবাইলে একটি ফোন আসে। তখন উপস্থিত পুলিশ মোবাইলের অপর প্রান্তে লোকটির সঙ্গে যোগাযোগ করে। পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক গাঁজা কারবারের অন্যান্য চাইদের কাছে পৌছার জন্য নাটক মঞ্চস্থ করে। পুলিশ গাঁজা কারবারীর কাছে এক লক্ষ টাকা দাবি করে।এবং জানিয়ে দেয় এক লক্ষ টাকা দিলে আটককৃত গাঁজা সমেত ধৃত তিন কারবারী ও গাড়ি ছেড়ে দেবে পুলিশ।
মুঙ্গিয়াকামী থানা পুলিশের পাতা ফাঁদে পা দেয় গাঁজা পাচারকারী। এদিন বিকালে আশীষ নাগ নামে এক যুবক এক লক্ষ টাকা নিয়ে চলে আসে মুঙ্গিয়াকামী থানায়। তখনই আশীষকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ধৃত আশীষ জানায়,অভিজিৎ দে ও দিপঙ্কর সাহা নামের দুই গাঁজা কারবারী তাকে পাঠিয়েছে। আশীষ পুলিশের কাছে দাবি করে,খয়েরপুর এবং রানীবাজার এলাকায় ১০ থেকে ১২ জনের একটি গাঁজা পাচারকারীর দল সক্রিয় ভাবে কাজ করছে।তারা নিয়মিত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে গাঁজা।পরে সংগৃহিত গাঁজা পাঠিয়ে দেওয়া হয় ভিন রাজ্যে।
তেলিয়ামুড়ার এসডিপিও সোনাচরণ জমাতিয়া বলেন, ধৃত আশীষ নাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাদবাকি কারবারীদের গ্রেফতারের জন্য জাল বিস্তার করবে পুলিশ।সংশ্লিষ্ট এলাকার থানাগুলিতে পাঠানো হয়েছে বার্তা।
