ডেস্ক রিপোর্টার, ১৫মে।।
ঊষা বাজার সিপিডব্লিউডি একটি “মধুর ভান্ড”।- অর্থের খাজনা দখলে থাকবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এটাই স্বাভাবিক। নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের প্রধান মুখগুলি থাকে রাজনৈতিক পৃষ্ঠ – পোষকতায়। পেছনে থাকেন রাজনীতির টাইকুনরা। নিগোসিয়েশন কারবারের এই ” চরিত্র ” নতুন নয়। কালে কালেই চলে আসছে।২৫ বছরের দীর্ঘ বাম জামানায় নিগোসিয়েশন বাণিজ্য কেন্দ্র করে বহু “অর্গানাইজড ক্রাইম” দেখেছে। এখন রাম জামানাতেও তা অব্যাহত। ভারত রত্ন সংঘের সম্পাদক দূর্গা প্রসন্ন খুনের ঘটনার পর এই চিত্র জলের মতো পরিষ্কার।
২০১৮ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ঊষা বাজার সিপিডব্লিউডি – র নিগোসিয়েশন বাণিজ্যেও হাত বদল হয়।ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতাদের নির্দেশেই বসানো হয়ে থাকে কারবারের মূল মাথাকে। এবং তাকে তুষ্ট করতে হয় বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক নেতাদের। দিতে হয় মাসিক কাঞ্চনমূল্য। এটাই রেওয়াজ।

বছর কয়েক আগে রাজু বর্মন সিপিডব্লিউডির দায়িত্ব পাওয়ার পর শাসক দলের একটি গোষ্ঠীকে নিয়মিত দিয়ে আসতো ভ্যাট। কিন্তু ২২- এ বিজেপির ঘরোয়া রাজনীতির পট পরিবর্তনের পর দলের মধ্যে আরোও একটি গ্রুপ মাথা তুলে দাড়ায়। তাদেরও প্রয়োজন কমিশন। তারা রাজু বর্মনের বিকল্প হিসাবে সামনে নিয়ে এসে দূর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকিকে। অল্প সময়ে দাদাদের আশীর্বাদ পেয়ে দূর্গা প্রসন্ন কোণঠাসা করে দিয়েছিলো রাজু বর্মনকে।প্রথমে রাজুকে ভারত রত্ন সংঘের সম্পাদক পদ থেকে বিতাড়িত করে। রাজুর বিরুদ্ধে ঊষা বাজারের যুবকদের এক মঞ্চে নিয়ে এসেছিল ভিকি। সিপিডব্লিউডি- র নিগোসিয়েশনের রিমোটও প্রায় চলে এসেছিল ভিকির হাতেই। আর তাতে রাজুর পিঠ দেওয়ালে লেগে যায়। সঙ্গে শাসক দলের রাজুর পৃষ্ট পোশক নেতাদেরও। তারাও বুঝে গিয়েছে, রাজু সিপিডব্লিউডি – র ক্ষমতায় না থাকলে হাত ছাড়া হবে মাসিক কাঞ্চনমূল্য। তখনই প্রকাশ্যে চলে আসে শাসক শিবিরের নেতাদের দুই গোষ্ঠী। শেষ পর্যন্ত নেতাদের দেওয়া অভয়ের ট্যাবলেট খেয়ে রাজু চিরতরে সরিয়ে দিয়েছে দূর্গা প্রসন্নকে।

ভিকির মৃত্যুর পর সিপিডব্লিউডি নিয়ে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইও প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর এর প্রভাব পড়ছে ভিকি হত্যা মামলার তদন্তে। ব্যাতি ব্যস্ত হয়ে উঠছে অনুসন্ধানকারী পুলিশ। শাসক দলের মধ্যে থাকা ভিকির পৃষ্ঠ পোশক নেতারা চাইছেন রাজু বর্মনকে কবর থেকে তুলে এনে প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর কাছে ক্ষমতা জাহির করতে। অন্য দিকে রাজু বর্মনের পৃষ্ঠ পোশক নেতারা মূল খুনিদের আড়াল করতে চাইছেন। শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর এই লড়াইয়ে মহাফাফরে পড়েছে তদন্তকারী পুলিশ। তারা একবার ডানা মেলে তদন্ত শুরু করলে, পরক্ষনেই ডানা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে ।এই অবস্থায় শেষ পর্যন্ত ভিকি হত্যা মামলার তদন্ত কোনো জায়গাতে গিয়ে ঠেকে? তা দেখার জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করতে হবে আরোও কিছুটা দিন।